পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৫০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ষয়কণশ । 3&సి যেমন পিতা মাতার উপদংশ হইলে সন্তানগণও উক্ত রোগের অধিকারী ছয়, তদ্রুপ ক্ষয় কাশ হুইবার সম্ভাবনা নাই। কোন প্রকার প্রবল পীড়া হইলে তাহদের শরীর দুর্বল, শোণিত দূষিত, এবং দেহ-প্রকৃতি বিকৃত হয় এবং সেই অবস্থায় সন্তান হইলে সেই সন্তানের শরীর সুস্থ থাকিবীর সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু বিকৃত দৈহিক স্বভাব এই রূপে প্রাপ্ত হইয়াও সুনিয়মে প্রতিপালিত হইলে শিশুগণ রোগগ্রস্ত হয় না। কোন২ পরিবারের শিশু-পালনের নিয়ম এত কদৰ্ষ্য যে, সকল শিশুই প্রাপ্ত বয়সে ক্ষয়কণশ রোগে আক্রান্ত হয় । অতএব পিতামাতার অবস্থানুসারে শরীর দুৰ্বল হইলেই যে, সন্তানগণ এই রোগের অধিকারী হইবে তাহা বলা যায় না ! 尊 ২ । পানাহার। যে শিশুর পিতামাত সবল ও সুস্থকায়, তাহারও পানাহার দোষে এই পীড়া হইতে পারে। অখাদ্য বা স্বল্প ভোজনে শরীরের পুষ্টি হয় না এবং তজ্জন্য শরীর দুর্বল এবং শোণিত বিকৃত হয়। এই হেতু দীনহীন । দিগের ক্ষয়কণশ সর্বদা হয় এবং ধনাঢ্যদিগের মধ্যে যে শিশুকে অত্যপ বয়সে মাতৃ-দুগ্ধ ছাড়ান হুইয়াছে এবং অযোগ্য পান ভোজন দ্বারা যে শিশু রক্ষিত হইয়াছে, তাহারই এই পীড়া হইতে দেখা যায়। কোন২ দুর্বল শিশুকে ঘৃতাহার না দেওয়াতে পীড়ার উৎপত্তি হয়। 鬱 ৩ । বাসস্থান। কেছ২ বিশ্বাস করেন, আর্দ্রস্থানে বাস করিলে ক্ষয়কাশ হয়। স্কটলণ্ডের রেজিষ্টার জেনারেল সাহেব স্পষ্ট দেখাইয়াছেন যে, বাসস্থানের আর্দ্রতানুসারে