পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৫০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৩২ t বালচিকিৎসা | শরীরে শক্তি হীন হওয়াতে উত্থান শক্তি রহিত , হয়, ক্ষুধামান্দ্য, পেশীক্ষয়, এবং কাশের উদ্দীপন হইবার পূৰ্ব্বে উদর ও বক্ষেগদেশে বেদন হইতে দেখা যায়। কাশের আবেগ হইলে তাহা সহজ, স্বল্প ও শুষ্ক, কিন্তু তাহ পুনঃ২ হইয়া থাকে। যে শিশু পূৰ্ব্বে সর্বদা প্রফুল্লচিত্ত থাকিত, এক্ষণে তাছার স্বভাব উগ্র, খেলনায় বিরতি, এবং বেলা যত অবসান ও রাত্রির আগমন হয়, চৰ্ম্ম উষ্ণ ও শুষ্ক হইতে থাকে। ডাং রিঞ্জার সাহেব বলেন, বিবিধ কারণে শারীরিক উষ্ণতা বৃদ্ধি হইতে পারে, কিন্তু তাপমানের পারদ ১০৩ বা তদূৰ্দ্ধে থাকিলে তাছা ক্ষয়কাশের নির্ণায়ক লক্ষণ বলিতে इड्रेटब,1 - * এক সময়ে পীড়া দৃষ্টতঃ আরোগ্য হয়, আবার অন্য সময়ে নলোষ রোগের লক্ষণ সকল বর্তমান হইয়া যার পর নাই, শিশুকে কষ্ট প্রদান করে । শ্বাস প্রশ্বাস ঘন, কষ্টজনক এবং শীশবৎ শব্দ বিশিষ্ট । কাশের বৃদ্ধি সহকারে শ্লেযু নিঃসরণ হইলেও শিশু তাছ৷ উদরসাৎ করে । এই সকল লক্ষণের সহিত পেশীক্ষয় ও শক্তি হীন হইতে থাকে। রাত্রিকালে ঘৰ্ম্ম হইলেও তাঁহা স্বীপ, এবং কেবল মুখমণ্ডলেই হয়। প্রত্যেক মিনিটে শ্বাস প্রশ্বাস ৩০ হইতে ৪০, নাড়ী দ্রুতগামী, মুখে ক্ষত, শরীর বিবর্ণ, ইত্যাদি লক্ষণ পরেই ফুফুসূ-প্রদাহ বা নলৌষ হইয়া মৃত্যু হয়। শ্বাসনলীয় গ্রন্থিতে গুটী জন্মিলে যে সকল লক্ষণ প্রকাশ হয়, তাহ যুবা ব্যক্তির রোগ-লক্ষণপেক্ষ অনেক ভিন্ন । হাম বা অন্য রোগের উপশমান্তে যে নলোষ হয়, তাহার