পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৫০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৬৩ বালচিকিৎসা | সৰ্ব্বস্থানে শুনা যায়, তাহাতে এবং এই নুতন শব্দে বড় প্রভেদ থাকে না । সুতরাং রহৎ শ্বাসনলীতে শ্লেয়া জন্য যে শব্দের উৎপত্তি হয়, ফুক্ষু ঘনীভূত না হইলেও তাহ গুরুতর বলিয়া বোধ হয়। বিরুদ্ধ শ্বাসনলীয় গ্রন্থি বক্ষঃপ্রাকারে সংলগ্ন হওয়াতে বক্ষের যে দিকে পীড়া নাই, সে দিকেও রোগ-সভূত শব্দ শুনা যায় এবং তাছাতে রোগের প্রকৃত বিস্তার জানা অতি কঠিন হয়। এই সকল ভ্রান্তিকর ঘটনা নির্মুল করিয়া পীড়ার প্রকৃতি স্থাপন জন্য বক্ষের উভয় পাশ্বে প্রতিঘাত ও আকর্ণন পুনঃ২ সমভাবে সম্পাদন করা উচিত, যে হেতু পীড়ার মারকত্বের পরিমাণপেক্ষ আমরা তাছাকে গুরুতর ব্যাখ্যা করিলে রোগী ও তাছার আত্মীয়বর্গের ভয় হইবে, তাছাতে মহানিষ্ট হইবার সম্ভাবনা। যে সকল পুস্তকে বয়ঃপ্রাপ্ত ব্যক্তিদিগের রোগ বর্ণিত হইয়াছে, তৎপাঠে সকলেই অবগত হইবেন যে, ক্ষযকণশ গ্রস্ত ব্যক্তির বক্ষঃ প্রাচীরে আকর্ণন করিলে স্বরধনি বিকৃত হইয়৷ ফুফুসের পরিবর্তনানুসারে ভিন্নাকারে শ্রত হয়। কিন্তু শিশু কথা কহিতে পারে ন এবং তাহ পারিলেও যে সকল শব্দ যে নিয়মে উচ্চারণ করিতে বলা যায়, তাছা সে পারে না। এই হেতু বিরুত স্বর-ধ্বনি দ্বারা যুব ব্যক্তির পীড়া যে রূপে নির্ণয় হয়, এখানে তাহা হুইবার সম্ভাবনা নাই । যুবা ব্যক্তির যে পাশ্বে পীড়া হয়, অপর পাশ্বের শ্বাসধনির উচ্চতা বৃদ্ধি হয়, কিন্তু শিশুর এরূপ হইতে দেখা যায় ন, যে হেতু, যে পার্শ্বে অদ্য অতি কষ্টে বায়ু প্রবিষ্ট হয়,