পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৫১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8а о & বালচিকিৎসা | হের ভৌতিক লক্ষণ অনুসন্ধান করিলে সে ভ্রম দূরীকৃত হইবে, বিশেষতঃ গুটা সঞ্চার হইলে যে সকল লক্ষণ উপলব্ধি হয়, তাহ অন্য পীড়ায় ছয় না। ভাবিফল । নিতান্ত মন্দ। কিন্তু পীড়া হইলেই যে নিশ্চয়ই মৃত্যু হইবে, তাছা বলা যায় না এবং পীড়ার প্রথমাবস্থায় চিকিৎসা হইলে রোগী রক্ষা পাইতে পারে। মৃত্যুর-কারণ । (১) এই পীড়াকিছুদিন স্থায়ী হইলে শরীরের সমস্ত যন্ত্র এত দূর বিশৃঙ্খল হয় যে, তাহাতে পরিপোষণ ক্রিয়ার বাধা জন্মে । ২। পরিপোষণ ক্রিয়া রহিত হইয়া শরীর অস্থি চৰ্ম্মসার হইলেও শিশু অনেক দীন জীবিত থাকে এবং তৎপরে অননুভূত যাতনা সহকারে মৃত্যু হয়। ৩। কখন নলোষ বা ফুফুসের প্রদাহ হইয়া মৃত্যু হইতে পারে। এইরূপ মৃত্যুর পর শবচ্ছেদন করিলে দেখা যায় যে, উক্ত প্রদাহের পূৰ্ব্বে গুটা সঞ্চার হইয়াছিল। ৪। বাল্যকালে ফুক্ষু হইতে রক্তস্রাব হইয়া মৃত্যু অতি বিরল | t ৫। এই পীড়া সত্ত্বে কিছু দিন জীবিত থাকিবার সম্ভাবনা থাকিলেও পরিবেষ্টতে গুটী সঞ্চার হইয় তাহতে প্রবল প্রদাহ উৎপন্ন হয় এবং এইরূপ হইলে মৃত্যু হইতে অণর বিলম্ব থাকে না । § • ৬ । ক্ষয়কশ রোগের লক্ষণ সকল প্রতীয়মান হইলে অনেক শিশুর মৃত্যু প্রবল মস্তিষ্কোদক জন্য হইয় থাকে। মস্তিষ্ক আক্রান্ত হইলে অনেকের অঙ্গক্ষেপ হয় ।