পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯৬ প্রাকৃতিক নিয়মানুযায়ী ব্যবহার প্রণালী। লেই মনুষ্যের পরম । পুৰুষাৰ্থ সিদ্ধ হয় না ; ধর্মপ্রবৃত্তি সমুদায় সঞ্চালন পূৰ্ব্বক বুদ্ধিনিম্পন্ন তত্ত্ব সকলের অনু ষ্ঠান করা, ও তন্নিৰ্দিষ্ট নিয়ম সমুদায় প্রতিপালন করা অতীব কৰ্ত্তব্য । যখন এই অখিল ব্ৰহ্মাও এক মুকো , শল-সম্পন্ন যন্ত্র স্বরূপ এবং এক অদ্বিতীয় পরমেশ্বরই ইহার স্রষ্টা ও পাতা, তখন ইহা অবশ্বই অনুভব সিদ্ধ, যে এই জগতের সমুদায় অংশের পরস্পর অতি, মুন্দর সামঞ্জস্য অাছে, এবং ইহার সহিতু ঈশ্বরের স্বরূপেরও ঐক্য আছে। মনুষ্যের মনও এই অসীম বিশ্বের এক বিন্দু বটে, সুতরাং সমুদায় জগতের সহিত তাহারও অবশ্য সামঞ্জস্য আছে । বিশ্বকাৰ্য্য পৰ্য্য লোচনা করিয়া বিশ্বাধিপের অভিপ্রায় নির্ণয় করা ও তদনুযায়ী কাৰ্ষ্য করা । আমাদের সমস্ত বুদ্ধিবৃত্তি ও ধর্ম প্রবৃত্তির প্রধান প্রয়োজন। বিষা ও ধর্মের পরস্পর অনৈক্য ভাব উচিত। । নছে। বিষ্ঠ্যালোকদ্বারা যে সমস্ত যথার্থ তত্ত্ব প্রকাশ পায়, তাহ৷ সাক্ষাৎ পরমেশ্বর-প্রণীত। এই প্রত্যক্ষ পরিদৃশ্যমান বিশ্বরূপ ধর্মশাস্ত্রের আলোচনাদার যাবতীয় তত্ত্ব নিরূপিত হয়, এবং যে সমস্ত নিয়ম নির্দিষ্ট হয় তাহাই যথার্থ ঘৰ্ম্ম । পরমেশ্বরই আমা দের পরম আচার্য্য এবং এই অচিন্তু বিশ্ব-কাৰ্য্যই আমাদের পরম শাস্ত্র। এ শাস্ত্রে অন্য নাই, প্রসাদ নাই, এবং কোন অবৈত্ব বিধান qাকিবারও সস্তাবনা নাই ঘিনি জামাদের বুহি সৃষ্টি করিয়াছেন, তিনিই ধর্ম