পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ ১৬ ভৌতিক নিয়ম লজমের ফল । তখন তাহাদের অসামঞ্জস্য অর্থাৎ বুদ্ধিবৃত্তির ও ধর্ম প্রবৃত্তির ছীনতা ও নিকৃষ্ট প্রবৃত্তি সম্বদায়ের প্রবলতা দ্বারা যে ছঃখোপতি হয়, ইহা স্বভাবসিদ্ধ বটে। এই সমস্ত দুঃখও আমাদের মঙ্গলাভিপ্রায়ে । সৃষ্ট হই- য়াছে। যখন আমরা বিশ্ব-নিরস্তার কোন নিয়ম লঙঘন করিয়া ক্লেশ পাই, তখন তাহা সেই পরাৎপর পরম জাচার্য্যের সাক্ষাৎ উপদেশ স্বরুপ জ্ঞান করিয়া একান্ত অন্তঃকরণে এই রূপ প্রতিজ্ঞা করা উচিত, যে “ছে বিশ্বাধিপ ! হে কৰুণাময় ! আমি তোমার মুথ্যাবহ নিয়ম আর লঙঘন করিব না । ।” যৎপরিমাণে আপনার কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম সাধন করিবে, মঙ্গলাকর বিশ্বপাতা তৎ পরিমাণে সুখনান করিবেন। কেবল মঙ্গলই সমুদায়। । বিশ্বকৌশলের প্রয়োজন, এবং যত দুঃখ উৎপন্ন চয়, ডাহা সেই পরম প্রয়োজন সাধনাৰ্থে সঙ্কল্পিত । অতএব, নিয়ম লঙঘন করিলে অনিষ্ট ঘটে বলিয়া নিয়ম কখনও অশুভজনক বলা যায় না। পৃথিবীর আকর্ষণ শক্তির প্রয়োজন অবগত হইয়া তদনুযায়ী ৰ্যবহার না করিলে বিপদ উপস্থিত হয়, একারণ। তাহাকে অকল্যাণকরী শক্তি বলা কদাপি উচিত নহে। যদি পরমেশ্বর এই শুভকরী -শক্তিক নষ্ট করেন, তবে মছোট অট্টালিকাদি কম্পমান হয়, বৃক্ষ সমুদার শিখিল হয়, মানবদেহ অত্য কারণেই আকাশ পথে উৎক্ষিপ্ত হয়, এবং সংসারের এইরপ, অায় "সহজ প্রকার বিশ্বধলা ঘেরা উঠে। কাৰ্য্য কারণ প্রণালী ক্রেমে যে কারণের যে কানা