পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শারীরিক নিয়ম লঙ্ঘনের কল । ১৫৯ সহিত আমাদিগের বিবাহের রীতি ছিল না, কিন্তু ভারতবর্ষের অন্তঃপাতী বিভিন্ন দেশীয় লোকের পর স্পর বিবাহের প্রথা প্রবল রূপে প্রচলিত ছিলতাহার সন্দেহ নাই । ইহার আর অত্য প্রমাণ কি? বনমায়ণ, মহাভারত, পুরাণাদি সংস্কৃত শাস্ত্ৰ সমুদায়ই ইহার সাক্ষী আছে। প্রাচীন সম্প্রদায়ী ব্যক্তিরএ প্রসঙ্গ .শ্ৰবণ করিয়া কহিবেন, যদিও ইহা শাস্ত্ৰবিৰুদ্ধ নহে, ব্যবহারবিৰুদ্ধ বটে। এ কথাতে যন্ত্রণানল চতুগুণ চতুঃসহজ গুণ প্রজ্জ্বলিত হইয়া উঠে। স্বদেশহিতৈষী দয়াস্ত্র মহাত্মারা পরপীড়া পরিহারার্থে বত শুভ প্রস্তাব উথাপন করেন, স্বদেশের অহিতকারী -আপ নার । অশুভকারী--আত্মঘাতী নিদাৰুণ । লোকেরা . কেবল ব্যবহার ব্যপদেশ করিয়া সমুদায় অগ্রাহ্য করে । স্বদেশের শুভানুরাগী ব্যক্তি স্বপরিবার-স্বরূপ দেশ লোকের হীনতা ও দারিদ্র্য দশা দেখিয়া যেরূপ মৰ্ম্ম- বেদনা প্রাপ্ত হন, তাহারা তাহ কিছুই অনুভব করে। না। যেদিন জন্মভূমির দাৰুণ দুরবস্থা মনে হয়, কত অসুখেই সে দিন যাপন হয়! এমন দুঃখের দিন কত দীর্ঘ বোধ হয়! তাহার প্রত্যেক মুইছ কত দুঃসহ যাতনাই দিতে থাকে! সৰ্বদেশীয় দয়ালুদিগেরই এই যন্ত্রণা আছে, কিন্তু বাঙ্গলা দেশের হিতৈষী ব্যক্তির হঃখের আর পরিসীমা নাই ; তাহার অন্তঃকরণে। কাণায়সের উদয়দ্বারা ‘ নয়ন ব্গদে অবিরল অঞ জল বিগলিত হইতে দেখিলেও অন্য লোকে আক্ষেপ করে ন! তাহাদের পাবাঘর চিত্ত কিছুতেই আার্চ