পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৪ শারীরিক নিম্ন ম লধনের কল । থ্যের অপতোৎপাদিকা শক্তি, উৎপরিবর্তে, হৃষ্ট পুষ্ট সুন্দর নবত । সকলে প্রবেশিত করিয়া পৃথিবীর পরম শোভা সাধন করিতেছে। অতএব, নাশ ও ক্লেশ মাত্রই এ নিয়মের উদ্দেশ্য নহে, ইহ৷ সুখদা রক ও বটে । আমাদের নিবাস-ভূমি পৃথিবী কিছু অসীম নহে, সুতরাং তাহাতে। নিরূপিত-সংখ্যাতিরিক্ত অধিক প্রাণীর স্থান ও অন্ন প্রাপ্ত হওয়া অসম্ভব। বিশেবত: ইতর প্রাণিদিগের অপত্যোৎপাদিকা শক্তি এত প্রবল, যে নিয়মানুযারী দেছ ভঙ্গদ্বারা যত জন্তুর মৃত্যু হয়, তদপেক্ষা তুরি ওণ প্রাণীর উৎপত্তি হইয়া থাকে । তাহাঁদের এমত বুদ্ধি নাই, যে, সেই শক্তিকে সংঘ করিয়া রাখিবে । অতএব, জগদীশ্বর কতকগুলি মাংসাশী জন্তুর সৃজন , করিয়াছেন, তাহার উৎসাহ সহকারে অন্যের মাংস ভোজন করিয়া জীব-সংখ্যার আগাতিশয্য নিবারণ । করিতেছে। পতঙ্গের বিষয় বিবেচনা করিয়া দেখিলে, এ বিষয়ের প্রচুর প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায়। এক জাতীয় পতঙ্গ অস্ট্য জাতীয় পতঙ্গদিথকে ভক্ষণ করে, এবং ঐ ভক্ষক জাতির অধিক সংখ্যা হইলে । অন্ত্য জাতীয় পতঙ্গ তাহাদিগকে , আহার করিয়া থাকে। তৃণাহারী পশুদিগেরও বহু সন্তান জন্মে, তাহাদের অপঘাত মৃত্যু না ঘটলে সমুদায় আমগুলেও তাহাদের স্থান ইইত না । সুতরাং তাহাদিথকে যৎপরোনাস্তি যন্ত্রণাদায়ক অনাহার-নৃত্যু. যারা শরীর পরিত্যাগ ।