পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জামিঘ ভক্ষণ । ১৮৩ আমিষ ভোজন করিলে যে জিংঘাসাদি নিক্ল প্ররতি প্রবল হয়, ও তৃণ, পত্র, শস্যাদি উদ্ভিদ বস্তু ভক্ষণ করিলে যে ঐ সকল প্রকৃতি ভুল হয়, প্রায় সমুদায় প্রাণির প্রকৃতিই ইহার প্রত্যক্ষ প্রমাণ। সমস্ত মাংসাশী পশুরই অত্যন্ত উগ্র স্বভাব, কারণ মাংসাহার ও তদৰ্থে প্রাণী বধ উভয় কারণেই তাহাদের জিংঘা সাদি প্রবৃত্তি উত্তেজিত ও বর্ধিত হইতে থাকে। ইহা অনায়াসে পরীক্ষা করিয়াও দেখা যাটতে পারে। কোন কুকুরকে ক্রমাগত কিয় কাল নিরবচ্ছিন্ন নির মিষ ভোজন করাইলে, তাহার উগ্র স্বভাব হ্রাস হইয়া ন্নিথ স্বভাব বৃদ্ধি হয় । সেইরূপ, যদি ক্রমাগত মাংস ভক্ষণ করান যায়, তবে তাহার ক্রোধ ও হিংস্রতা । প্রবল হইতে থাকে। পশুবধপূৰ্ব্বক মাংস বিক্রয় করা যাহাদের উপজীবিকাতাহাদের কুকুর যে অত্যন্ত হিংস্র ও কৃশংস হয়, তাহার কারণ এই । শবভোজী কুকুরদিগের অসামান্য উগ্রতা ও হিংস্রতা প্রসিদ্ধ। আছে । ব্যাজের ন্যায় হিংজ স্বভাব প্রায় অন্য কোন জন্তুরই সৃষ্টি করা যায় না, কিন্তু শ্য ফলাদি ভক্ষণ । করাইলে, তাহারও হিংস্রতা হ্রম হইয়া মিন্ধত বৃদ্ধি ছর । কোন ব্যক্তি একটা ব্যাজশাবক ধূত করিয়া কিয়কাল শস্য ভক্ষণ করাইর রাখিয়াছিল। তাহাতে সেই ব্যান্ডের জিঘাংস প্ররডি এ প্রকার দমন হইল, যে তাহার বন্ধন মোচন করিয়া দিলে, গৃহের পার্থে ইতস্তত: গষনাগমন করিত, এবং ইণ্ডে করিয়া বাৰ্তা কব দিলে, আহার করিত, তাহাতে কাহারও হিংসা