পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমিষ ভক্ষ্মণ । ৮ t৫ প্রাপ্ত হওয়া যায় । অতএব, আমিষ ভোজন যে জিঘাংসাপ্রবৃত্তি প্রবল হইবার এক প্রধান কারণ, ইহাতে সন্দেহ নাই । নিক্লষ্ট প্রবৃত্তি প্রবন হইলে, ধৰ্মপ্রবৃত্তি তাহার নিকট পরাভূত থাকিবার সম্ভাবনা । Kাহার তা ঃ করণে দয়ার লেশমাত্র আছেতিনি পশু, পক্ষি প্রভূ তির বধদশ। সৃষ্টি করিয়া অবশ্যই কাতর হন, তাহার সন্দেহ নাই। আর যাহারা পুনঃ পুনঃ পাপাচরণ। করিয়। এ প্রকার নির্দয় হইয়া উঠে, যে জস্তুদিগের মৃত্যুযন্ত্ৰণা দেখিয়া যন্ত্রণা বোধ হয় না, দয়া-নৃত্য । হিংত জন্তুর সহিত তাহাদের আর কি বিশেব থাকে? মাংসবিক্রয়োপজীবী লোকে পুনঃ পুনঃ প্রাণী বধ । করাতে এরূপ কৰুণ-শূন্য হয়, যে তাহারা এই তাতি নিদাৰুণ বিষম কৰ্ম্ম করিতে আর কিছুমাত্র সমূচিত হয় না । তাহাদের প্রচণ্ড ও নির্দয় স্বভাব সৱ সাধ রণেই বিদিত আছে। একারণ কোন কোন দেশে এ প্রকার রাজনিয়ম প্রচলিত আছে, যে কোন বিচা যালয়ে মরণজীবনবিষয়ক বিচার উপস্থিত হইলে, তাহারা জুরি হইতে পারিবে না। অতএব, মাংসাশী মহাশয়েরা মাংস ভোজন করিয়া কেবল আপন দের অনিষ্ট করিতেছেন এখন নড়ে, পূর্বোক্ত প্রাণি ঘাতক দিগকে পশুর সমান করিতেছেন। এক্ষণে, আমিষ ভক্ষণ করিয়া মনুষ্যের ক্রোধ ছিং সাদি প্রবল ও ধর্মপ্রবৃত্তি সকল ভুকূল কর কৰ্ত্তব্য কি ন, ড়হ বিবেচনা করা উচিত। উপরমেশ্বর প্রাণি