পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮১ পরিশিষ্ট । বিদা দ্বারা প্রস্থ নিঃসংশয়ে নিরূপিত হইয়াছে, যে মমূষ্য উৎপন্ন হইবার কোটি কোটি বৎসর পূর্ষে এ পৃথিবীতে অপরাপর অশেষ প্রকার জীব বিছ্যমান ছিল, এবং তৎপূৰ্বেই তাহার অনেক জাতি একবারে নষ্ট হইয়া গিয়াছে। এক্ষণেও, ভূচর, খেচর ও জল চর যত ইতর জন্তু আছে, তাহারাই ব৷ কয় প্রকার প্রাণী মনুষ্যের ব্যবহারে আসিয়া থাকে? তৃতীয়তঃ। মাংসাশী মহাশয়েরা স্বপক্ষ রক্ষার্থে কহিয়া থাকেন, আমিষ ভক্ষণ করিলে শরীরের বল ও পুষ্টি বৃদ্ধি হয়, উদ্ভিদ বস্তু ভোজন কছিলে নেরূপ হয়। না। কিন্তু ঊা ছাদের এ কথা কত দূর প্রামাণিক, তাহা বিচার করিয়া দেখা উচিত। মাংসাশী প্রাণি সকল অত্যন্ত ক্ৰোধ-পরবশ হইয়া অন্যের উপর অত্যাচার করে ও অন্যের প্রাণ নাশ করে, ইহা সৃষ্টি করিয়া আপাততঃ বোধ হইতে পারে, যে মাংস আহার করিলে বল বৃদ্ধি হয় । কিন্তু অনেকানেক তৃণ-পত্র-শস্ত৷ হারি পশুকেও প্রভূত বলবিশিষ্ট দেখা যায়। যে বৃষ । ও অশ্ব উভয়ই অত্যন্ত বলবান ও মন্তব্যের বিশিষ্টরূপ উপকারী, তাহার৷ তৃণ, পত্রাদি উদ্ভিদ বস্তু মাত্ৰ ভক্ষণ । করিয়া থাকে। তৃণ-পত্ৰভোজী গণ্ডার ও হস্তী মাংসাশী সিংহ ও ব্যাজ অপেক্ষায় বলবানু। তৃণাহারী হরিণ সমস্ত মাংসাশী পশু অপেক্ষায় দ্রুতগামী। বাম রের বল ও পরাক্রম অপর সাধারণ সকলেরই বিদিত আছে। অতএব, মাংসাশী পশুদিগের অপে কায় উদ্ভিদভোজী পদিগের বন অল্প নহে। বরং