১২ উপক্ৰমণিকা । নিতান্ত আবশ্যক বলিয়া উপদেশ প্রদান করিতে থাকেন । অতএব, যৎপরিমাণে মনুষ্যের স্বীয় প্রকৃতি ও বাহা বিষয়ে জ্ঞান বৃদ্ধি হয়, তৎপরিমাণে তাহার সুখবৃদ্ধির উপায় হইতে থাকে। প্রথমে সকল জাতীয় মনুষ্যেরই অতি অসভ্যাবস্থা থাকে, পরে ক্রমে ক্রমে উন্নতি হয়। তিনি প্রথমতঃ হিংস্র জন্তুবৎ জঙ্গলে ভ্রমণপূর্বক পশু হিংসা করিয়া উদরপূৰ্ত্তি করেন ; পরে কিঞ্চিৎ জুনে দ্ৰেক হইলে কৃষিকার্যে প্রবৃত্ত হুন, তদনন্তর বুদ্ধি বৃত্তির প্রধৰ্য্য হইলে শিল্পকর্ম ও বিস্তৃত বাজি ব্যবসায়ে নিযুক্ত হন । । এক্ষণকার সভ্য জাতিদিগের এই শেষোক্ত অবস্থা ঘটিয়াছে ; এ অবস্থায় লোভ রিপু অত্যন্ত প্রবল । মনে ও শরীরের প্রকৃতি চিরকালই সমান, কিন্তু এ ভিন্ন ভিন্ন কালত্রয়ব লোকদিগের বাহ বস্তু-বিষয়ক সম্বন্ধের অনেক ইতর বিশেষ হইয়া অসি য়াছে। প্রথম অবস্থায় কাম ক্ৰোধাদির প্রাবল্য হইয়া । অতি অপক পশুবৎ ব্যবহারে হ্রাহাদের প্রবৃত্তি হয় ; দ্বিতীয় অবস্থার বুদ্ধিবৃত্তির কিঞ্চিৎ সৃষ্টি হয় বটে, কিন্তু কাম ক্ৰোধাদি অ্যা্য নিকষ্ট বৃত্তির উপর বুদ্ধির আায়ত্তি না হওয়াতে, এক প্রকার অসভ্যাবস্থাই থাকে, এবং তৃতীয় অবস্থায় বুদ্ধিবলে অনেকানেক বাহ বস্তু স্তাহাদের আয়ত্ত হইয়া ধনাকাজক্ষ ও মন কাউকারই অাতিশয্য হয়। কিন্তু একাল পৰ্যন্ত কোন অবস্থাতেই মনুষ্যের মানসিক বৃতি সমুদায়ের পরস্পর সামঞ্জস্য ও সমন্ত বাং বিষয়ের সহিত তাহান ঐক্য
