পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা । ১৩ স্থাপন হয় নাই, এবং তৎপ্রবুক্ত কোন কালেই ঢাছার ইহ-লোক-প্রাপ্য সমস্ত সুখ ভোগে অধিকার হয় নাই। যদি অদ্যাপি মনুষ্যের কোন অবস্থাতেই তৃপ্তিদাত না হইল, তবে ঊাহার প্রকৃতিই বা কি প্রকার ৩ বাহ বিষয়ের কিরূপ পৃষলাই বা তাহার সমুচিত উপযোগী, ইহার অনুসন্ধান করা নিতান্ত আবশ্যক । তারতবর্ষীয় লোকের কথা দূরে । থাকুক, ইউরোপ খণ্ডের বুদ্ধিমান গুণবানু মনুষ্যদিগেরই বা ঐহিক সুখ সম্ভোগের কত। উন্নতি হইয়াছে? এক্ষণে র্তাহারা শিল্প কাৰ্য্য ও বাণিজ্য কার্য বিষরে খ্যাতি লাভ করিয়াছেন বটে, কিন্তু তাহাতেই কি ঊাহাদিগের মুখের একশেষ হই য়াছে ? iাহার কি বংশানুক্রমে এই সমস্ত ব্যাপারই সর্বোৎকৃষ্ট বিবেচনা করিয়া কেবল ইহাতেই লিপ্ত থাকিবেন ? সকলেই জানেন, এ অবস্থ মনুষ্যের। পূর্ণাবস্থা নহে। তবে কি উপায় করিলে তাহার মুখোন্নতি হইবে ? কে আমাদিগের ভবিষ্যৎ সুখ রাজ্যের পথ প্রদর্শন করিবেন? এ সমস্ত প্রশ্নের এক সিদ্ধান্ত অাছে। পরমেশ্বর মনুষ্যের এ প্রকার স্বভাব করিয়া দিয়াছেন, যে প্লাহার সকল বিষয়েরই ক্ৰমে ক্ৰদে উন্নতি হইবে, এবং তাহাকে পৃথিবীর অপরাপর প্রাণী অপেক্ষ উৎকৃষ্ণ মুখের অধিকারী করিয়া এই অভিপ্রায়ে বুদ্ধিবৃতি প্রদান করিয়াছেন, যে তিনি স্বীয় যন্ধে আপনার প্রকৃতি ও বাহু বিষয়ের গ্ৰতাৰ কাছ হইবে, এবং মাহাতে মানসিক বৃতি সমদারের