২৬ প্রাকৃতিক নিয়ম। তিলি যেমন রাজাম্বরপ হইয়া শুভকর নিয়ম সংস্থাপন পূৰ্বক বিশ্ব-রাজ্য পালন করিতেছেন, তদ্রুপ পরম কাৰুণিক আচার্য্য স্বরপ হইয়া স্বপ্রতিষ্ঠিত নিয়ম শিক্ষার উপায় করিয়া দিয়াছেন। সংসারে যত। দু:খ আছে, সমস্তই পরমেশ্বরের নিয়ম মেনের ফল । অতএব, কোন্ নিয়ম লঙঘনে কোন্ উঃখের উৎপত্তি হইতেছে, তাহার বিবেচনা করিয়া সেই হুঃ খের প্রতিকার করা অর্থাৎ বিশ্ব রাজ্যের । শাসন-প্রণ লীর তত্ত্ব জানিয়া তনুযায়ী ব্যবহার করা নিতান্ত আবশ্যক। । জগতের তাবৎ বস্তুর এক এক প্রকার নির্দিষ্ট প্রকৃতি আছেতদনুসারে তাহারা এক এক শ্রীতি ক্রমে কার্যা করিয়া থাকে। যদি এক বস্তুর দ্বার। অয় বস্তুর কার্য্যের বৈশক্ষণ্য ন হইত, তাহা হইবেও সজীব ও নির্জীব যাবতীয় বস্তুর কাৰ্য্যেয় যত প্রকার নির্দিষ্ট রীতি আছে, বিশ্বেরও তত প্রকার নিয়ম আছে বলিতে হইত ; যেহেতু কার্য্যেরই এক এক প্রকার নির্দিষ্ট রীতির নাম নিয়ম। কিন্তু প্রাণিগণ ও অন্যান্য বস্তু সকলের পরস্পর বিশেষ সম্বন্ধ আছে, সেই সম্বন্ধান্ত সারে ডাহাদের কার্য্যের বৈলক্ষণ্য ক্ষয় ; বধ, শুক তৃণ অগ্নিদ্বারা যেরূপ দম্ব হয়, জলসিক্ত তৃণ তদ্রুপ কখনই । হয় না, কারণ এস্থনে জদের স্বার। অগ্নির কাৰ্য্যেন্ত রৈলক্ষণা হইয়া থাকে। অতএব, ভিন্ন ভিন্ন প্রাণী প্ত বয় সমুদায়ের পরস্পর যত সম্বন্ধ ৰাছে, জগতেরও এত নিম্ন জাছে। যৎপরিমাণে এই সম পনিয়মের
