পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[।৴ ]

একেবারে অশ্রদ্ধা না করিরা বিচার করিয়া দেখিবেন। জগদীশ্বর যেমন অন্ধকার নিরাকরণার্থ জ্যোতিঃ পদার্থ সৃজন করিয়াছেন, সেইরূপ, মনুষ্যের ভ্রম বিমোচনার্থ বুদ্ধিবৃত্তি প্রদান করিয়াছেন। অতএব, বুদ্ধি পরিচালন পূর্ব্বক কর্ত্তব্যাকর্ত্তব্য নিরূপণ না করিয়া বহু দোষাকর দেশাচারের দাস হইয়া চলা বুদ্ধিমান জীবের কর্ত্তব্য নহে। নানা দেশে নানা প্রকার পরম্পরবিরুদ্ধ ব্যবহার প্রচলিত আছে, তৎসমুদায় সুব্যবহার বলিয়া স্বীকার করিলে ধর্ম্মাধর্ম্মের আর কিছু মাত্র প্রভেদ থাকে না। এক দেশে এই প্রকার প্রথা আছে যে ব্যক্তি নরহত্যা করিয়া যত নর কপাল সংগ্রহ করিতে পারে, তাহার তত সম্রম হয়। অন্য এক দেশে এইরূপ রীতি আছে, যে বিদেশীয় লোকের অর্থ হরণ ও প্রাণ নাশ করিলে গৌরব বৃদ্ধি হয়। কত কত সভ্য জাতির মধ্যে এই প্রকার ব্যবহার আছে, যে যদি কেহ কাহারও অপমান করে, তবে অপমানিত ব্যক্তির ইচ্ছানুসারে, উভয়ে পরস্পর গুলি করিয়া পরস্পরের প্রাণ সংহার করিতে প্রবৃত্ত হয়; অপমানকারী ব্যক্তি তাহাতে স্বীকৃত না হইলে মানভ্রষ্ট ও লজ্জাম্পদ হয়। কত দেশের লোকে নর-মাংস ভক্ষণ করিয়া উদর পূর্ণ করে। কোন দেশে এইরূপ রীতি প্রচলিত আছে, যে পিতামাতা বা পরিবারস্থ অন্য কোন ব্যক্তি অত্যন্ত পীড়িত বা জরাগ্রস্ত হইলে তাহাকে নষ্ট করিয়া তাহার মাংসে কুটম্বাদি ভোজন করায়। তত্তদ্দেশীয় লোকেরা ঐ সমুদায় দেশাচারকে সদাচার