পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনুষ্যের শারীরিক গ্রকৃতি । ৪৩ সু স্থত ভঙ্গ, গ্লানি বোধ, এবং সর্বদা অসুখ ও ক্লেশ । ঘটনা হয়, সুতরাং শরীর ও মনের শক্তি সমুদায়। নিস্তেজ হুইতে থাকে । বাঙ্গালা দেশের লোক এই ত্ৰিবিধ শারীরিক নিয়ম ভঙ্গ বিষয়ের যেমন উদাহরণ-স্কুল, এমন আর দ্বিতীয় নাই। এ দেশের লোক কি নিমিত্ত এরূপ ভুর্বল ও নিবীৰ্য্য হইল ? কি নিমিত্ত ভিন্ন জাতীয় রাজার অধীন হইয়। এ প্রকার হেয় হইল । ? এ সমস্ত প্রশ্নের এক মাত্র সিদ্ধান্ত এই যে বিশ্বনিয়ন্তার নিয়মাবলীর অবহেলনই ঊাহাদের দুরবস্থা ঘটনার বলবৎ কারণ। জগদীশ্বর মনুষ্য ভিন্ন অন্য কোন জন্তুকে কৃষিশক্তি প্রদান করেন নাই, কিন্তু তৎপরিবর্তে বাহ্য বস্তুর সহিত তাহাদের প্রকৃতির এ প্রকার সম্বন্ধ করির দিয়াছেন যে, তাহাদের তৃণাদি ভোজ্য বস্তু বিন । যত্নে উৎপন্ন হইয়া । । থাকে । বসুমতী আপনা হইতেই অনবরত তাহাদের । খাদ্য সামগ্ৰী প্রস্তুত করিয়া রাখিয়াছেন। সেইরূপ, পরমেশ্বর তাহাদিগকে গাত্রাচ্ছাদন নির্মাণ করিবার কৌশলজ্ঞান প্রদান করেন নাই, কিন্তু তদ্বিনিময়ে পক্ষ লোমাদি দ্বারা তাহাদের শরীর আবৃত ও সুশো ভিত করিয়া দিয়াছেন। জগদীশ্বর যখন পশু, পক্ষী পভঙ্গাদির বিষয়ে এইরুপ অচিন্ত্য জ্ঞান ও বিচিত্ৰ শক্তি প্রকাশ করিয়াছেন, তখন ইচ্ছা করিলে মনুষ্যের বিধ য়েও এরুপ করিতে পারিতেন, যে ঔহার শষ্য ফলাদি সমস্ত. ভোজ, দ্রব্য বিনা:আায়াসে আপনাহইতেই উৎপম হুইত, এবং, wাহার যাত্রাচ্ছাদনও স্বভাবতই