পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬ মনুষ্যের মুখোৎপত্তির বিষয় । জ্ঞান প্রাপ্ত হইয়া ভূমিষ্ঠ হইতাম, এবং আমাদিগের মনোবৃত্তি সমুদায় স্ব স্ব বিষয়ভেথে এককালেই চরি তার্থ হইয়া থাকিত, ও ডাহাদিগকে আর চালনা করি বার প্রয়োজন ও সম্ভাবনা না থাকিততাহা হইলে, এইক্ষণকার অপেক্ষ সুখের অঙ্গতা ভিন্ন কখনই অ ধিক্য হইত না। যদি একবার মাত্র ভোজন করিলেই চিরকাল উদর পরিপূর্ণ ধাকিত, ও ক্ষুধার উদ্রেক আর ন হইত, তবে প্রত্যহ ফুৎপিপাসা শান্তি করিয়া যেরূপ, সুখ সম্ভোগ করা যায়, তাহাতে এককালে বঞ্চিত ধা কিতে হইত। ধন-লাভ হইলেই ধনলোভী ব্যক্তির অহলদি হয়, কিন্তু সে আহলাদ অতি অল্পকাল-স্থায়ী । হস্তগত ধনে তাহার তৃপ্তি হয় না, সুতরাং সে তৎ ক্ষণাৎ অধিক উপাৰ্জনার্থে ব্যত্র হয়। যদিও লোকে তাহাকে অর্বাচীন বোধ করে, কিন্তু সে ব্যক্তি স্বীয় স্বভাবেরই বশবর্তী হইয়া কাৰ্য্য করে। তাহার অর্জর্জন গৃহ বৃত্তির চালনাতেই সুখানুভব হয়, এবং কেবল ধনান্বেষণ ও ধনোপানদ্বারা সে বৃত্তি সব্যাপার অর্থাৎ সচল থাকিতে পারে । অতএব যদি ঐ বৃত্তি একবারে অপ ব্যাপ্ত বিষয় লাভ করিয়া চিরকাল সুয়ুপ্রবৎ ব্যাপার। শূন্য থাকিড, তাহ হইলে মানববৰ্ণ তুহৃৎপন্ন সুখ ভোগে কখনই জধিকারী হইত না। এইরূপ, আর আর মনোবৃত্তিও নিতান্ত নিশ্চেষ্ট হইয়া থাকিলে এক্ষণে তাহাদিগকে পুনঃ পুনঃ চরিডাৰ্থ করিয়া যে প্রচুর সূখ সন্তোষ করা যাইতেছে তাহ আর আমা দিগের ভাগ্যে ঘাটত না।, এরুপ হইলে এককালে ।