বিক্রমোর্কশী । • ¢ উল্মীলিত কর তবে ও বিশাল পঙ্কজ-নয়ান যামিনীর অবসানে প্রস্ফুটিত নলিনী-সমান। চিত্র –ও মা কি হবে ! প্রাণটা আছে, কেবল নিঃশ্বাসেই জানা যাচ্চে—কিন্তু এখনও চৈতন্য হয় নি । রাজা –তোমাদের সর্থী অত্যন্ত ভয় পেয়েচেন । দেখনা কেন :– বিকচ কুসুম-প্রায় কোমল-বন্ধন হৃদি ঃ এখনো তো ত্যজেনি কম্পন, হরি-চন্দনেতে মাখা স্তন-মধ্য উচ্ছাসিয়া ওই দেখ করিছে জ্ঞাপন ॥ চিত্র –ওলো ! তুই আপনাকে প্রকৃতিস্থ কর । তোকে যে আর অপসর বলেই মনে হচ্চে না । (উৰ্ব্বশীর চৈতন্ত লাভ ) রাজা – এই যে, তোমার সর্থী এখন প্রকৃতিস্থা হয়েচেন । দেখ — বরতনু ভায় এবে মোহ-মুক্ত হয়ে তমোমুক্ত রাত্রি যথা শশাঙ্ক-উদয়ে ; কিম্বা নৈশ অগ্নি-শিখা হয় যথা প্রায় ধুম-হীন, গঙ্গা পুন স্বচ্ছ যথা তট-ভঙ্গে হইয়া মলিন ॥ চিত্র –সখি ! এখন নিশ্চিন্ত হ। সেই দেবশক্র দানবেরা নিশ্চয়ই পরাভূত হয়েচে । উৰ্ব্ব —( চক্ষু উন্মীলন করিয়া ) ধ্যান-প্রভাবে দেখতে পেয়ে মহেন্দ্র কি তাদের পরাভব করলেন ?
পাতা:বিক্রমোর্ব্বশী (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর).djvu/১২
অবয়ব