বিক্রমোশ্মশী । Rළු স্বপ্ন-সমাগমকারী নিদ্রা এবে সেবিব কেমনে ? অথবা অঙ্কিত করি’ চিত্রটি প্রিয়ার কেমনে নিবারি বল অশ্রুবারি-ধার ? চিত্র -সখি ! কথাটা শুনলে তো ? উৰ্ব্ব ।-শুনলেম–কিন্তু হৃদয়ের পক্ষে যথেষ্ট হগ না । বিদু –মহারাজ ! এই টুকুই আমার বুদ্ধির দৌড় । আর তো কোন উপায় ভেবে পাচ্চিনে । রাজা –( নিশ্বাস ফেলিয় ) যে না বোঝে মোর এই, নিতান্তই নিদারুণ প্রাণের বেদন ; মানসী প্রভাবে কিম্বা, জেনেও সে যদি করে প্রেমাবমাননা —পঞ্চবাণ সুখী হোক, নিষ্ফল করিয়া মোর মিলন-কামনা ৷ চিত্ৰ –শুনলে সখি ? উৰ্ব্ব ।—( সখীরে দেখিয়া ) হায় হায় ! মহারাজ তা হলে আমাকে এই রূপই বুঝেছেন দেখচি। কিন্তু আমি তো এখন সম্মুখে গিয়ে মহারাজকে দেখা দিতে পারচিনে । এগন তবে করি কি ? আচ্ছ তবে, ধ্যান-প্রভাবে ভূৰ্জপত্ৰ নিৰ্ম্মাণ করে, তাতে আমার বক্তব্য লিখে পত্রটা তার সামনে ফেলে দি । চিত্র – হুঁ, সেই কথাই ভাল । ( উৰ্ব্বশী পত্র লিখিয়া নিঃক্ষেপ ) বিদু —(দখিয়া ) বাবা রে! খেলেরে ! মহারাজ এটা কি ? একটা সাপের পোলস আমাদের সামনে কে যেন ফেলে দিলে !
পাতা:বিক্রমোর্ব্বশী (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর).djvu/৩০
অবয়ব