বিক্রমোর্কশী । く4 রাজ –সখী ! সাল্পনার কথা কি বলচ্ ?—দেখঃ– ললিতাৰ্থ বাক্য রচি, প্রকাশিয়া তুল্য অনুরাগ, নিবেদিল প্রিয়-মোর, পত্র-যোগে নিজ মনোভাব । প্রত্যক্ষ যেন গো আমি, হেরি তারে মোর সন্নিহিত, প্রিয়ীর অননে নেন, এবে মোর আনেন মিলিত ৷ উৰ্ব্ব —এই বিষয়ে আমাদের দুজনেরই মনের ভাব সমান । রাজ –সখী ! আমার আঙ্গুলের ঘামে এষ্ট অক্ষর গুলি পুছে যাচ্চে, তুমি এই প্রিয়ার পত্ৰখানি ধর । বিদূ –(গ্রহণ করিয়া) আপনার বাসনার গাছে এখন ফুল ধরেছে দেখেও উৰ্ব্বণী কেন এখনও ফলের বিষয়ে সন্দেহ কচেন বলুন দিকি ? উৰ্ব্ব —ওলো ! মহারাজের কাছে যাবার জন্ত আমার মন বড়ই অধীর হয়েচে–কিন্তু না, আমি ধৈর্য্য ধরে এখানেই থাকি। সখিতুই ততক্ষণ ও কে দেখা দিয়ে, আমার হয়ে যা বলার তা বলে’ আয় । চিত্র –আচ্ছা । ( মায়া-আবরণ অপনয়ন করিয়া রাজার নিকট গিয়া ) জয় মহারাজের জয় ! রাজা –(সহৰ্ষে ) এসে ভদ্রে এসে । দেখ গঙ্গা-যমুনার মত দুইটি সখীরে হেরি’ পূৰ্ব্বে যে আনন্দ মোর হয়েছিল মনে, এবে সর্থী-বিরহিতা তোমারে দেখিয়া একা তেমন আনন্দ আর না পাষ্ট ললনে ॥ চিত্র –দেখুন, প্রথমে মেঘ দেখা যায়, তার পরে বিছান্নতা । বিদু।–(চুপি চুপি ) উৰ্ব্বশী এলেন না কেন ? ইনি বোধ হয় তার সহচরী । চিত্র –উৰ্ব্বশী মহারাজকে নতশিরে প্রণাম করে’ এই কথা নিবেদন করচেন—
পাতা:বিক্রমোর্ব্বশী (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর).djvu/৩২
অবয়ব