বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিক্রমোর্ব্বশী (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর).djvu/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२b” বিক্রমোর্কশী । রাজা –(নিশ্বাস ফেলিয়া ) এখন আমার চক্ষুন্থটি বার্থ বলে’ মনে হচে । বিদু —(পত্র দেখাইতে ইচ্ছুক হইয়া ) এই ভূর্ক্স– অৰ্দ্ধোক্তি করিয়া স্বগত) কি সৰ্ব্বনাশ! উৰ্ব্বণীকে দেখে এতদুর বিক্ষিত হয়েছিলেম যে ভূৰ্জপত্ৰখানি হাতথেকে কখন পড়ে গেছে আমি জানতেও পারিনি। রাজা –কি বলতে যাচ্ছিলে ? বিদু —মহারাজ ! আমি বলছিলেম কি, নিরাশ হবেন না, উৰ্ব্বণীর অনুরাগ আপনাতে যেরূপ দৃঢ়বদ্ধ তাতে সে এখান থেকে চলে গেলে ও সে বন্ধন কখন শিথিল হবে না । রাজা –আমার ও তাই মনে হয় । কেননা প্রস্থান কালে ;– পরাধীন দেহ মাঝে, ছিল যে গো সে বালার স্বাধীন হৃদয় স্তনমাল্য-বিকম্পিত নিঃশ্বাস ফেলিয়া যেন অপিল আমায় ॥ বিদু –(স্বগত) আমার হৃদয় কঁপিচে । একটু পরেই তো মহারাজ সেই ভূৰ্জপত্রটি আমার কাছে চাইবেন । রাজা –সখা! এখন আর কি দেখে আমার চক্ষু জুড়োই বল ? ( স্মরণ করিয়: ) সেষ্ট ভূৰ্জপত্রটা নিয়ে এসে দিকি । বিদূ – চারিদিকে দেখিয়া সবিষাদে ) কি আশ্চর্য্য ! সেটা যে দেখতে পাচ্চি নে . বোধ হয়, যে পথে উৰ্ব্বণী গেছেন সে দিব্য ভূৰ্জপত্রটিও সেই পথে গেছে । রাজা – অস্থয়া সহকারে ) মূর্থেরা দেখতে পাষ্ট সৰ্ব্বত্রই অসাবধান । না না--ভাল করে খুজে দেখ । বিদু – ( উঠিয়া) এইখানে নিশ্চয়ষ্ট কোথাও আছে। বোধ হয় এষ্ট দিকে —নানা, এই দিকে । ( অন্বেষণ )