ළුෆ বিক্রমোর্কশী । বিদু —দেখুন মহারাজ ! সেই ভুৰ্জপত্রটি এই প্রমদবনের নিকটস্থ ক্রীড়া পৰ্ব্বত-প্রাস্তে কি দেখা যাচ্চে না ? রাজা –( উঠিয়া ) ভগবান বসন্তসখা মলয়ানিল ! সৌগন্ধের তরে তুমি, লতিকার সুরভিত _ সঞ্চিত কুসুম-রেণু কর আহরণ । কি কাজ হইবে তব, প্রিয়ার স্বহস্তে লেখা স্নেহের এ লিপিখানি করিয়া হরণ ? এইরূপ শত শত, বিনোদন-উপায়ে যে কামার্ত পুরুষ করে জীবন ধারণ —পুনমিলন-আশে-পারো কি তাহারে তুমি । এরূপ নিৰ্দ্দয়-ভাবে করিতে পীড়ন ? দাসী –ঠাকরণ ! দেখুন দেখুন, সেই ভূৰ্জপত্রেরই খোজ হচ্চে । ঔশী –আচ্ছ এখন দেখা যাক কি করেন । তুই চুপ করে থাক্ । বিদূষক –দেখুন, এ আবার কি ? একটা মান-বৰ্ণ ময়ূরপুচ্ছ—আমি মনে করেছিলেম সেই ভূৰ্জপত্র । রাজা ।—আমার কি সৰ্ব্বনাশই হল ! ঔশী –(সহসা নিকটে আসিয়া ) মহারাজ ! কেন এত ব্যাকুল হয়েছ— এই সেই ভূৰ্জপত্র। রাজা –( সসন্ত্রমে স্বগত ) একি ! দেবী যে ! (অপ্রতিভ হষ্টয়া প্রকাণ্ডে) এসো দেবি এসো ! বিদু –(চুপি চুপি ) এখন না এলেই ভাল ছিল । রাজা –( জনাস্তিকে ) বয়স্ত ! এখন এর প্রতিবিধানের উপায় কি ? বিদু —( জমাস্তিকে ) বামাল শুদ্ধ চোর ধরা পড়েছে—এখন আর মুখের কথায় কিছু হবে না ।
পাতা:বিক্রমোর্ব্বশী (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর).djvu/৩৭
অবয়ব