অনুবাদকের নিবেদন । বিক্রমোর্কশীর এই বঙ্গানুবাদে আমি মুখ্যতঃ বোম্বাই প্রদেশের স্বপ্ৰসিদ্ধ শঙ্কর-পণ্ডিত-কর্তৃক সম্পাদিত গ্রন্থের অনুসরণ করিয়াছি । তিনি অনেকগুলি পুথি পরস্পরের সহিত মিলাইয়া, সম্যক বিচারপূৰ্ব্বক যে পাঠান্তরগুলি বিশুদ্ধ বলিয়া স্থির করিয়াছেন, তাহাই এই গ্রন্থে সন্নিবেশিত হইয়াছে । বঙ্গদেশে যে গ্রন্থ প্রচলিত, তাহার সহিত অনেক স্তলেক্ট এই সকল পাঠ-সম্বন্ধে অনৈক্য দেখা যায় । - শঙ্কর-পণ্ডিতের প্রকাশিত গ্রন্থের আর একটি বিশেষত্ব এট, ইহাতে বঙ্গদেশ-প্রচলিত গ্রন্থের চতুর্থ অঙ্কের প্রাকৃত-গানগুলি একেবারে বর্জিত হইয়াছে। তিনি এষ্ট প্রাকৃত শ্লোকগুলি মূল গ্রন্থের মধ্যে যথাস্থানে না দিয়া পরিশিষ্টে পৃথকরূপে প্রকাশ করিয়াছেন। তিনি তার ভূমিকায় এই সম্বন্ধে কৈফিয়ৎ ও দিয়াছেন । তিনি বলেন ;– তিনি যে ৮ খানি পুথি মিলাইয়া দেখিয়াছেন তন্মণো ৬টি উৎকৃষ্ট পুথিতে এই প্রাকৃত শ্লোকগুলির অস্তিত্ব মাত্র নষ্ট । ভাষাকার “কাতলেম” ৪ গুই প্রাকৃত শ্লোকগুলি-সম্বন্ধে কোন উল্লেখ করেন নাই । তা ছাড়া, এই প্রাকৃত-শ্লোকগুলি রাজার অবৃত্তি করৰার কথা । অথচ, শাস্ত্রমতে উত্তম পাত্রের প্রাকৃত ভাষায় কথা কওয়া কিম্বা কোন কিছু আবৃত্তি করা একেবারে নিষিদ্ধ। • দ্বিতীয় আপত্তি এই –যে যে স্থলে রাজার মুখে এই প্রাকৃত শ্লোক গুলি বসানো হইয়াছে, তাহারই ছায়া রাজার উক্তিগত সংস্কৃত শ্লোকগুলিতেও আছে। প্রাকৃত শ্লোকগুলি সংস্কৃতেরই পোনরুক্তি মাত্র।
পাতা:বিক্রমোর্ব্বশী (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর).djvu/৪
অবয়ব