বিক্রমোর্কশী وفاته পশ্চাৎ বাৰ্দ্ধক্য এলে পুত্র-পরে দিয়া ভার বিশ্রামের করে আয়োজন । সেবায় মোদের কিন্তু দিন দিন দেহ-ক্ষয়, —কারাগারে যেন পরিণত । অস্তঃপুরের এই মহিলা-রক্ষণ-কাজে আমাদের কষ্ট অবিরত ॥ ( পরিক্রমণ করিয়া ) কাশী-রাজকন্ত এখন একটা ব্ৰত পালন করচেন। তিনি আমাকে বল্লেন “আমি মান বিসর্জন দিয়ে নিপুণিকার মুখ দিয়ে তাকে পূৰ্ব্বেষ্ট সেধেচি। এখন আমার নাম করে বল, মহারাজের সন্ধ্যাউপাসনাদি শেষ হলে তাকে যেন একবার দেখতে পাই" । ( পরিক্রমণ ও অবলোকন ) রাজভবনে দিবাবসানের ব্যাপারটা বড়ষ্ট রমণীয় ! বাস-যষ্টি-পরে দেখ, নিশানিদ্রালসা শিখী রহিয়াছে যেন খোদা চিত্রের মতন । গবাক্ষের জাল হতে নিঃস্থত ধূপের ধূম, বল্লভীস্থ পরাবত বলি’ হয় ভ্ৰম । শুদ্ধান্তের শুদ্ধাচারী যত সব বৃদ্ধজন পুষ্পবলি বিকীরণ করি স্থানে স্থানে যতনে রাখিছে দেখ প্রজ্জলিত অগ্নি-শিখা মঙ্গল-সন্ধ্যার দীপ উচিত বিধানে ॥ ( নেপথ্যাভিমুখে দেখয় ) এই যে ! এই দিক্ দিয়েই মহারাজ গিয়েছেন । দীপ হস্তে পরিজন-নারী চারিধার, তার মাঝে শোভে নৃপ অতি চমৎকার ।
পাতা:বিক্রমোর্ব্বশী (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর).djvu/৪৩
অবয়ব