বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিক্রমোর্ব্বশী (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর).djvu/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিক্রমোর্কশী । &సి পদ্মপত্রে দেহ ঢাকি? যদি তব সহচরী থাকে সরোবরে, দূরে ভাবি তারে তুমি হক্টয়া উৎসুক অতি ডাকো সকাতরে । পত্নি-স্নেহবশে তুমি সতত করহ ভয় বিচ্ছেদের দুখ, এ বিধুর জনে তবে প্রিয়ার বারতা দিতে কেন পরায়ুখ ? আমাদের মত মারা হতভাগ্য তাদের এইরূপই ঘটে । আচ্ছা আমি তবে স্থানান্তরে যাই । এই যে ! পদা-অভ্যস্তরে অলি করিয়া গুঞ্জন আমার গমনে বাধা দেয় অনুক্ষণ । অধর-দংশন কালে করিত শীৎকার —মনে পড়ে মোর সেই আনন প্রিয়ার । ত হোক। এই কমলবাসী মধুকরকেও একবার জিজ্ঞাসা করি, এখান থেকে গিয়ে আবার না অনুতাপ করতে হয় । মধুকর মদিরাক্ষ ! প্রিয়া মোর কোথা বল শুনি, বরতন্ত্র প্রেয়সীরে, কোথা ও কি দেখ নাই তুমি ? সে মুখ স্বরভি-শ্বাস, তুমি যদি করিতে অস্ত্রাণ তা হলে কি এই পদ্মে মজিত গোঁ তোমার পরাণ ? যাক্ট, অন্যত্র গিয়ে অন্বেষণ করে । ( পরিক্রমণ ) এই যে, কদম্ব-তরুস্বন্ধে ঠেস দিয়ে করিণীর সঙ্গে গজরাজ এইখানে আছেন । ( দেখিয়া ) থাক্, ওকে এখন ত্বরা দিয়ে কাজ নেই। ভাঙ্গিয় সল্লকী-তরু, করিণী সে শুণ্ডে করি’ আনিয়াছে অভিনব পল্লব তাহার ।