বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিক্রমোর্ব্বশী (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর).djvu/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অঙ্ক । পরিতুষ্ট হইয়া বিদূষকের প্রবেশ । বিদু —অ ! বাচা গেল, রাজা উৰ্ব্বশীকে সঙ্গে নিয়ে নন্দন-বন প্রভৃতি প্রদেশে বিহার করে’ ভাগ্যে ভাগ্যে ফিরে এসেছেন। এখন আবার সৎকার-উপচারের দ্বারা প্রজারঞ্জন করে রাজ্য করচেন। এখন কেবল র্তার সন্তানেরই অভাব, এ ছাড়া আর কোন অভাব নেই । আজ একটী বিশেষ শুভ তিথি, তাই মহারাজ গঙ্গা-যমুনার সঙ্গমে দেবীদের সহিত কৃত-স্নান হয়ে এই মাত্র বাস-গৃহে প্রবেশ করেছেন। এখন সেখানে তিনি অনুলেপন মাল্যাদির দ্বারা অলঙ্কত হচ্চেন—এইবেল সেইখানে গিয়ে আমিষ্ট প্রথমে তার ভাগ নিইগে । ( পরিক্রমণ ) নেপথ্যে —যে মণিটি মহারাজের হৃদয়-বিলাসিনী প্রেয়সীর মাথার চূড়ামণি, সেই মণিটি একটি তাল-পাতার ঠোঙ্গায় লাল রেশমি কাপড়ে ঢেকে নিয়ে যাচ্ছিলেম, এমন সময়ে একটা শুকুনী আমিষপও মনে করে সেটি ছে৷ মেরে নিয়ে গেল । বিদু।–(কান পাতিয়া ) কি উৎপাত ! সেই সঙ্গমনীয় চূড়ামণিটি মহারাজের যে বিশেষ আদরের সামগ্রী । এই যে, বেশভূষা শেষ না হতেই মহারাজ আসন থেকে উঠে এই দিকে আসূচেন। আমি এইবার তবে নিকটে যাই । উদ্বিগ্ন পরিজনের সহিত রাজার প্রবেশ। রাজা – নিজের মরণ নিজে করি আহরণ কোথায় গেল গো সেই চোর-বিহঙ্গম —রক্ষকেরি ঘরে চুরি করিয়া প্রথম ? : কিরাত -এই যে পাখিটার মুখে মণির স্বর্ণ-স্বত্রটা লেগে আছে—আর