পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

oee08 ] ইংরাজী কাৰ্যে বাঙ্গালী yQ শ্ৰীলতিকা বসু সরোজিনী নিজে লিখিয়াছেন- “যতদূর মনে পড়ে আমার পড়াশুনার বেশীর ভাগই চৌদ্ধ হইতে ষোল বৎসরের মধ্যে শেষ হইয়াছিল। ঐ সময়ের মধ্যে আমি একখানি উপন্যাস রচনা করিয়া ফেলি, এবং মাসিক পত্রের জন্য অনেকগুলি প্ৰবন্ধও রচনা করি। তখন হইতেই লিখিবার জন্য একটা প্ৰবল আকাজকা মনে জাগিয়া উঠে।” সরোজিনীর বয়স যখন পনের, তখন ডাক্তার নাইডুর প্ৰতি তিনি আকৃষ্ট হইয়া পড়েন। উভয়েই উভয়কে জীবনসঙ্গীরূপে পাইবার জন্য ব্যগ্রী হন। কিন্তু এই মিলনে উভয় পক্ষের আত্মীয় স্বজন হইতে গুরুতর আপত্তি ও বাধা উপস্থিত হয়। সরোজিনী ব্ৰাহ্মণকুমারী, ডাক্তার নাইডুর ব্ৰাহ্মণে তাঁর বংশে জন্ম, সুতরাং এই অসবৰ্ণ বিবাহে আত্মীয়স্বজন কেহই সন্মত হন নাই। প্ৰিয়তমের সহিত মিলিত হইতে না পারিয়া সরোজিনী মৰ্ম্মাহত হন, কিন্তু একেবারে নিরাশ হন নাই। র্তাহার তৎকালীন মনের অবস্থা কয়েকটি কবিতায় বেশ ফুটিয়া উঠিয়াছে। যাহা হউক, ১৮৯৫ খ্ৰীষ্টাব্দে নিজামপ্রদত্ত একটি বিশেষ বৃত্তি লাভ করিয়া সরোজিনী বিলাত যাত্রা করেন । তিনি প্ৰথমে লণ্ডনের “কিৎসা’ কলেজে ভৰ্ত্তি হন। পরে তথা হইতে কেন্বিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তভুক্ত সুবিখ্যাত গাটন কলেজে প্ৰবেশলাভ করেন। আর্থার সাইমনসের একটি লেখায় সরোজিনীর বিলাত প্ৰবাসকালীন একটি ছবি বেশ ফুটিয়া উঠিয়াছে :- “সরোজিনীর বিলাতে অবস্থানকালীন র্যাহাদের সঙ্গে তাহার আলাপ পরিচয় ঘটে, তাহদের সকলেরই মনে পড়িবে কিরূপে এই কিশোরীটির সমস্ত প্ৰাণ প্ৰতিফলিত হইত। তাহার দুইটি চোখে । সুৰ্য্যমুখী ফুল যেমন সৰ্ব্বদা সুৰ্য্যের দিকে চাহিয়াই ফুটিয়া রহ, সরোজিনীর চক্ষু দুইটিও তেমনি সৌন্দর্ঘ্যের দিকে একান্তভাবে নিবন্ধ থাকিত। বিস্ফারিত চক্ষু দুইটি সৌন্দৰ্য্য-ধ্যানে ক্রমশঃ এত বিন্ধারিত হইত যে, দুটি চক্ষু ছাড়া তাহার দেহে আর কিছু আছে বলিয়া মনেই পড়িত না। সরোজিনী সৰ্ব্বদা ভারতীয় রেশমের শাড়ী পরিয়া বাকিতেন। আগুম্ফালৰিত ভ্ৰমর-কৃষ্ণ অলক-দাম তাহার দেখিলন্ত বিরিয়া থাকিস্ত-তাহাকে দেখিলে নিতান্ত বালিকা डिम यांद्र किई भान श्ड ना। डिनि भूव अन्न कथारे बनिতেন, যাহা বলিতেন তাহাও অতি মৃদু-মধুর-স্বরে। বীণাধ্বনির হঠায় তাহার কথা কৰ্ণে বাজিত। একোলা থাকিতেই তিনি ভালবাসিতেন।” সরোজিনীর বুদ্ধিমত্তা, বিদ্যাবত্তা এবং মনের পরিণতিয়া কথা বর্ণনা করিয়া আর্থার সাইমনস পরিশেষে বলিতেছেন*সরোজিনীর স্বভাবের একটা দিক আমাকে বড়ই আকৃষ্ট । করিয়াছিল-উহা তাহার মনের একটা প্ৰবল আত্মসমাহিত ভাব। ঐ ভাবধারার শক্তিতে যাহা কিছু হেয়, ছোট বা অস্থায়ী তাহ সমস্তই ভাসিয়া যাইত। দৈহিক পীড়া তাহার একরূপ নিত্যসঙ্গী ছিল বলিলেই হয়, মানসিক অশান্তি ও BD DD DSSD DD BSDD DBBBD TSLDD --কিছুই এই ধ্যানরতা মনস্বিনীকে বিচলিত করিতে পারে নাই।” প্ৰবাসে অবস্থানকালে সরোজিনী একবার ইটালি দেখিতে যান। ইটালির অলোকসামান্য প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য ও অপূর্ব কলা সম্পদ তাহার চিত্তকে অভিভূত করিয়া ফেলে। ফ্লারেন্স দেখিবার সুযোগ পাইয়া সরোজিনী নিজেকে ধন্য মনে করেন। দুই হাজার বৎসর পূর্বে ইটুরিয়ার দেবতারা যে সৌন্দৰ্য্য পান করিতেন, দেবপদরজভূষিত জনগণবাহিত ভূস্বৰ্গ ইটালির সেই সৌন্দৰ্য্য-সুধা সরোজিনী দিনের পর দিন অতৃপ্তনেত্ৰে পান করিতে লাগিলেন। কিয়োসলি যাইয়া তাহার মনে হইল যেন তিনি স্বপ্ন-জড়িত চক্ষে অলিভ বৃক্ষের নিয়ে উপবিষ্ট দেবতা দিগকে দর্শন করিতেছেন। BDBSBg S BDBB YYS DBBDBBDD DDD DD DDuD ব্যাকুলত ছিল তাহার পরিচয় তাহার। ইটালি হইতে লিখিত PavsetTS PțSA v ১৮৯৮ শ্ৰীষ্টাব্দে সরোজিনীর স্বাস্থ্য আবার ভাঙ্গিয়া পড়িল। তিনি স্বদেশে প্ৰত্যাগমন করিতে বাধ্য হইলেন। ঐ বৎসরেই ডিসেম্বর মাসে তিনি সমস্ত বাধা বিয়া অগ্ৰাহ করিয়া ডাক্তার নাইডুকে বিবাহ করেন। র্তাহার লিখিত একখানি চিঠি হইতে র্তাহার বিবাহিত জীবনের মুখচিত্রের क्काि श्रब्रिष्न्द्र श्रांsब्रा बांब्र' ऐशाऊ ड्धं चांदृशब्र जड দুঃখ করিয়া তিনি লিখিতেছেন- “আমার স্বাস্থ্য ফিরিয়া