পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাইলেই আমি সম্পূর্ণ সুখী হইতাম। আমি আর কিছুই চাহি না, কারণ আমার মনে হয় আমার ছোট্ট নীড়টিতেই কবি শেলি বর্ণিত সুখ-দেবীর বাস-বাগানে পাখীর কলকুজনে এবং শিশুর অনিন্দ্য মধুর হাস্ত কলরবে। আমার কুটিরখানি সৰ্ব্বদাই মুখরিত ” হাইদ্রাবাদে অবস্থানকালে সরোজিনী যাহাতে সকলের মুখ ও শান্তি বিধান করিতে পারেন। তজ্জন্য সর্বদাই চেষ্টা করিতেন। . Dever, লিখিত ‘ভারতে ত্রিটিশ মহিলা” নামক গ্ৰন্থ পড়িলে আমরা তঁহার জীবনের এই দিকটা জানিতে পারি। সরোজিনী নাইডু। সম্বন্ধে উক্ত লেখক বলিতেছেন“মিসেস নাইডু এখন হাইদ্রাবাদে অবস্থান করিতেছেন। এই সহরের পর্দানশীন মহিলারা আরবি এবং পারসি ভাষায় সুপণ্ডিত । শুধু তাই নয়, প্রাচ্যের সকল ভাষার উচ্চাঙ্গের সাহিত্যের সঙ্গেই তাহদের পরিচয় আছে। এই সহরে [ পৌষ মিসেস নাইডু ভারতীয় এবং ইউরোপীয় এই দুই সমাজের মধ্যে একটা অপূৰ্ব স্থান অধিকার করিয়াছেন। তাহার চারিদিকেই সৌন্দৰ্য্যধারা, সকলেই মুক্তকণ্ঠে তাহার কবিতার প্ৰশংসা করিতেছেন। অন্তঃপুরচারিকাদিগের মধ্যে র্তাহার অপ্ৰতিহত প্ৰভাব” । সরোজিনীর যে যশঃরশ্মি এককালে হাইদ্রাবাদে আবদ্ধ ছিল আজ তাহা শুধু ভারতবর্ষে নয়সমগ্ৰ পৃথিবীময় ব্যাপ্ত হইয়াছে। আজ তিনি একজন ভুবন বিখ্যাত বাগ্মী। আর্থার সাইমনস যে কবির চিত্র আঁকিতে যাইয়া বলিয়াছিলেন- “সুখ দুঃখ উভয়েই র্তাহাকে সম্যক অভিভূত করে”, আজ আর তিনি সেই লজ্জানক্স BDBL DDBDD S S DDDB DBBB BBB SLDDDYKBBD শক্তি আজ তিনি দেশের কাৰ্য্যে উৎসর্গ করিয়াছেন। DDBBLSBD BDDD BDGD BDD DBDBBD BBBB D সরোজিনী নাইডু একটি উজ্জ্বল প্রভাবশালী জ্যোতিষ্কের ন্যায় বিরাজ করিতেছেন। কিন্তু কুসুম-সুকুমার দেহলত বিশিষ্টা, ভাব, সৌন্দৰ্য্য ও স্বপ্নরাজ্য বিচারিণী সরোজিনী কিরূপে ধূলিধূসরিত রাজনীতিক্ষেত্রে প্রবেশ করিলেন ? এ প্রশ্নের উত্তর অতি সহজ ; ইতিহাসই ইহার উত্তর দিতেছে। অনেক দেশের অনেক কবিই দেশসেবা রূপ মহত্তর কাৰ্য্যে জীবন উৎসর্গ করিয়াছেন। স্বদেশের দুঃখে বিগলিতপ্ৰাণা সরোজিনী যে দেশবাসীর স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করবেন তাহাতে আর বিচিত্র কি আছে ? পূৰ্বেই বলিয়াছি সরোজিনী অতি অল্প বয়সেই কবিতা লিখিতে আরম্ভ করেন । কিন্তু তাহার বাল্য রচনায় কোনও বিশেষত্ব নাই। অধিকাংশ কবিতাই শেলি এবং টেনিসনের পদাঙ্ক অনুসরণে রচিত। প্ৰকাশিত তিনখানি কাব্যগ্রন্থেই এগুলির স্থান না দিয়া সরোজিনী সত্বিবেচকের কাৰ্য্যই করিয়াছেন। এ সম্বন্ধে নিম্নোক্ত ঘটনাটি উল্লেখযোগ্য। সরোজিনী নাইডু তাহার রচিত কবিতাগুলি প্ৰসিদ্ধ সমালোচক এডমণ্ড গসের নিকট প্রেরণ করিয়া তাহার অভিমত জিজ্ঞাসা করেন। কবিতাগুলির রচনা নিভুল হইলেও উহার সমুদয়ই বিদেশী ছাচে ঢালা বলিয়া সমালোচকের মনপুত হয় নাই। তাই সেগুলি ফেরত দিয়া এডমণ্ড গস সরোজিনীকে বিলাতীভাব বজ্জিত এমন সব কবিতা লিখিতে