পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৩৪ ] ইংরাজী কাব্যে বাঙ্গালী শ্ৰীলতিকা বসু পরামর্শ দেন যাহাতে ভারতের প্রাণের পরিচয় পাওয়া যায়, তাহার বিশিষ্ট রূপটী ফুটিয়া উঠে, যাহাতে ভারতের পৌরাণিক যুগের চিত্র পরিচয়ের আভাষ আছে, অথবা যাহাতে ভারতের নিজস্ব চিন্তাশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়। এডমণ্ড গসের উপদেশে ভারতের ফুল, ফল, বৃক্ষলতা, উদ্যান ও মন্দির সরোজিনীর কবিতায় স্থান পাইয়াছে। এক কথায় বলিতে গেলে এডমণ্ড গসই। এ বিষয়ে সরোজিনীর একমাত্র পথ প্ৰদৰ্শক । গসের কথাগুলি সরোজিনীর হৃদয়পটে অঙ্কিত হইয়া যায় ; সেই দিন হইতে তিনি নিজস্ব দেশীয় সম্পদের দিকে তাকাইতে শিখেন। কৃতজ্ঞতার চিহ্ন স্বরূপ সরোজিনী তাহার প্রথম কাব্যগ্রন্থ-“দি গোল্ডেন থে। শহোলড” এডমণ্ড গসের নামেই উৎসর্গ করেন। উৎসর্গ পত্রে সরোজিনী লিখিয়াছেন-যিনি আমার সোণার দুয়ারের পথ প্রদর্শক তঁহারই উদ্দেশ্যে এই কাব্য গ্ৰন্থখানি উৎসর্গীझुङ श्शेव्न । সরোজিনী নাইডুর কবিতা সমালোচনা করিবার পূর্বে পরিপার্থিক কিরূপ প্ৰভাবের মধ্যে পড়িয়া তাহার কবিপ্ৰতিভা উন্মেষিত হইয়াছিল সর্বাগ্রে তাহারই আলোচনা করা প্রয়োজন। পূর্বেই বলিয়াছি, মাত্র ষোলবৎসর বয়সে সরোজিনী বিলাত গমন করেন। সৌভাগ্যক্রমে বিশিষ্ট লেখক মণ্ডলীতে বিচরণ করিবার সুবিধা তিনি পাইয়াছিলেন। তৎকালীন উদীয়মান লেখকদিগের অধিকাংশের সঙ্গেই তােহাঁর আলাপ পরিচয় ঘটে ; আরও সৌভাগ্য যে এডমণ্ড গসের ন্যায়। একজন প্ৰসিদ্ধ সমালোচককে তিনি বন্ধুভাবে লাভ করিতে পারিয়াছিলেন । উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ইংলণ্ডের কাব্য গগনে গুরুতর পরিবর্তন সাধিত হইতেছিল, ঠিক তখনই কিশোরী সরোজিনী তথায় উপস্থিত ছিলেন। সুতরাং অতি সহজেই এই নূতন কাব্যধারা সরোজিনীর হৃদয় স্পর্শ করে। এক দিকে টেনিসন অৰ্দ্ধ শতাব্দী ধরিয়া কাব্য জগতের দেবতার আসনে পুজা পাইয়া আসিতেছিলেন। টেনিসনের কবিতাই এতদিন ইংলণ্ডের কবিদিগের আদর্শ বলিয়া পরিগণিত হইতেছিল। লীলায়িত ভঙ্গী, স্বচ্ছ খজু কাব্যধারা, কতকগুলি বাছাই বাছাই সুন্দর সুন্দর শব্দ যোজনা-এইগুলিই ছিল তখনকার কাব্যের সম্পদ । কবিতার প্রাণের প্রতি কাহারও বড় একটা লক্ষ্য ছিল না । কিন্তু টেনিসনের জীবিতাবস্থাতেই এই ধরণের কবিতার বিরুদ্ধে আন্দোলনের সৃষ্টি হয়। ব্রাউনিংএর শ্রুতিকটু অথচ সতেজ কবিতাবলী, প্রি-রাফেলাইট দিগের প্ৰবল ভাবি-বন্যা, এবং আবুনালডের গ্ৰীক কবিদিগের ন্যায় সংযত চিন্তা ও সুর, টেনিসনের প্রভাবের বিরুদ্ধে । মূৰ্ত্তিমান বিদ্রোহের ন্যায় আসিয়া দাড়ায়। মামুলী ধরণে প্রকৃতির মধ্যে দেবদেবী কল্পনা অথবা প্ৰাচীন বীরগণের কীৰ্ত্তিগাথা এই নূতন দলের কবিতায় স্থান পায় নাই। স্পন্দনশীল মানব জীবনের পেলায় এই নব্য দলের কবিতার প্ৰাণ প্ৰতিষ্টিত ছিল। প্ৰকৃতির লীলাভূমি শান্তিময় গ্ৰাম্য औदन व दनड्रशिद्ध वन। श्रनिडांश कब्रिग्रा ५३. न्डन দলের কবিতা জন কোলাহল মুখরিত, দীপাবলী শোভিত। নগরীর প্রাণের বাৰ্ত্তা বা কথা দ্বারাই তাহদের কবিতার প্ৰাণের পুষ্টি সাধন করিতে লাগিলেন। নাগরীক জীবনই হইল এই নব কল্পিত কবিতার প্রাণের উৎস। সরোজিনীর কবিতাতেও আমরা এই উভয় দলের প্রভাবের ঘাত প্ৰতিঘাত দেখিতে পাই। গীতি কবিতাতে তিনি দক্ষহস্ত, এবং তঁাহার কবিতাও উচ্চশ্রেণীর ও মধুর বটে; কিন্তু তেঁাহার কবিতাতে ভারতীয় জীবনচিত্ৰ মোহন ও স্বপ্ন সুন্দর করিয়া অঙ্কিত করিবার লোভ সংবরণ করিতে পারেন नाझे । कांप्खरे कब्रनांश्यांौ ब्र१ श्क्व्गारेड इंद्देशांप्छ ; कारण প্ৰকৃত দৃশ্যটির সঙ্গে পাঠকের ভাল করিয়া পরিচয় ঘটতে পারে না। এক শ্রেণীর এ্যাংলো-ইণ্ডিয়ান লেখক আছেন যাহারা ভারতবর্ষকে পরীরাজ্য রূপে দেখাইতেই ব্যস্ত, সরোজিনীও অনেকটা তঁহাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করিয়াছেন। তাই তাহার মোহন তুলিকাম্পর্শে পালকী বোহারার গান, সাপুড়ের বংশীবাদন, অথবা রাজপথে উপবিষ্ট ভিক্ষুকের চিত্র পরীরাজ্যের কাল্পনিক সৌন্দর্ঘ্যে ভূষিত হইয়া পাঠকের চক্ষুর সম্মুখে প্ৰতিভাসিত হইয়াছে। তাহার ভিক্ষুক চারণগণ গাহিতেছেন - What hopes shall wegather what dreams shall we sow