পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)○ 8 “ও সব আর বুঝেও দরকার নেই পতিতুণ্ডি। এই রকম দিতে নিতে, দিতে নিতে, শেষে লাখ তিন চার “ওভারড্রাফটু” দিয়ে আমাকে সাধু শ্রেষ্ঠ ম্যানেজার বাবু দয়া করবেন। আর কি। তারপর তার সঙ্গে আধাআধি বাখরা। একবার হস্তগত কত্তে পাল্লে হয়। তারপর শস্মার কাছ থেকে ভাগ নেওয়াব এখন -যাক এ হস্তার মধ্যে বোধ হয় আমার কোলকাতা ছেড়ে কোথাও যাওয়া চলছে না পতিতুণ্ডি। আজ তোমার কি বার হোল বল দেখি ?” “আজি হ’ল আপনার মঙ্গলবার ।” “আজি মঙ্গলবার ? ধনেখালির খুড়ো ত তা হ’লে আজই আসবেন -এই যে অজেদ এসেছে, বোসে।” ট্যাকসিও’লা আলি অজেদ, জগদীশের কাছে অনেক বিষয়ে ঋণী । তাহার একসময়কার ভয়ানক দারিদ্র্য হইতে বর্তমানে তাহার এই সাংসারিক সচ্ছলতা প্ৰধানতঃ জগদীশেরই সাহায্যে এবং উপদেশে হইয়াছে। সুতরাং অনেক কাৰ্য্যেই সে জগদীশের দক্ষিণ-হস্ত স্বরূপ ছিল। অজেদ আসন গ্ৰহণ করিলে জগদীশ বলিল-“দেখ, আজ বারোটার মধ্যেই আমায় বেরুতে হবে, তার আগেই গাড়ী আনবে। আগে “বন্দেমাতরম ব্যাঙ্ক’ তারপর আরও দু’এক যায়গায় যেতে হবে। তারপর বৈকেলে আমার ধনেখালির খুড়ো আসবেন। তার হাঙ্গামাটা আজি চুকিয়ে দিতে হবে । যা” বলি বেশ ভাল ক’রে শুনে নাও” বলিয়া জগদীশ আজেদকে চুপি চুপি অনেকক্ষণ ধরিয়া কি সব বলিয়া দিল। তারপর পতিতুণ্ডিকে বলিল,-“ওহে, তোমার মার কাছ থেকে ধনেখালির খুড়োর বাক্সটা চেয়ে নিয়ে এস দেখি, আর আশীট টাকা ।” পতিতুণ্ডি উঠিয়া গেল এবং কিছু পরে খানকতক নোট এবং একটা ছোট চামড়ার বাক্স আনিয়া টেবিলের উপর জগদীশের সম্মুখে রাখিল। অজেদের হাতে নোট কখানি দিয়া জগদীশ বলিল“তোমার সেপ্টেম্বরের ৭৮১ টাকা ট্যাক্সির পাওনা হয়েছে ত ? এই নাও। আর, এই গয়নার বাক্সটা একবার দেখে রাখা ।” <මුවේ" [ পৌষ আজেদি নোটগুলি হাতে লইয়া, বাক্সটি খুলিয়া বলিল,- “একি সবই জড়োয় ?” "এতদিন আমার সঙ্গে ঘুরেও তোমার বুদ্ধি-শুদ্ধি কিছু হোলনা অজেদ । আরো সবই কেমিকেলের ওপর লালনীল কাচ বসান। সেই জন্যেই ত এটা দিতেও হবে। যেমন, তেমনি আবার নিতেও হবে। কি বললুম। তবে এতক্ষণ ধরে ।** হাসিতে হাসিতে আজেদি বলিল,-“এইবার বুঝিছি।” “ছাই বুঝেছি। তোমার চেয়ে পতিতুণ্ডির আমার মাথা সাফত আছে। যাও, ঐ দু’টাকা বেশী দিয়িছি, নেশা-টিশ খেয়ে মাথা ঠিক ক’রে নাওগে।” 来源 赛 寮 游 বেলা প্ৰায় পাঁচুটা। ধনেখালির খুড়া গহনার বাক্সটি হাতে করিয়া উঠিয়া দাড়াইয়া বলিলেন,-“স’ছটার ট্ৰেণ, খুবই পাব; কি বল জগদীশ ?” “হঁ্যা, তা খুব পাবেন। এখন পাঁচটাও বাজেনি। তা’হলে গয়না আপনার সব পছন্দ হয়েছে ত কাক ?” “এমন গয়না। যদি না পছন্দ হবে, কী পছন্দ হবে বাবা ? তুমি যে উবগার করলে, তা আর কী বলবো, ভগবান তোমার দিন দিন উন্নতি করুন। শরীরটা-” “কিন্তু কাকা, অন্তগুলো গয়না নিয়ে ‘ট্রামেতে” আর আপনার গিয়ে কাজ নেই। কোলকেতা যায়গা-পথে ঘাটে কত রকমের জোচ্চোর,--বলা যায় না। ত কিছু।” “আমিও তাই বলি বাবা। তুমি আমায় ট্যাকসি একখানা আনিয়ে দাও। কত আর ভাড়া নেবে।” “এই সিকেপাচেকের মধ্যেই আর কি। ওহে পতিতুণ্ডি, কোথায় গেলে ?-দ্ব্যাখ, বা করে একখানা। ট্যাকসি ডেকে আন দেখি, - এই মোড়েই পাবে এখন।” পতিতুণ্ডি অনতিবিলম্বেই একখানা। ট্যাকসি আনিয়া হাজির করিল এবং ধনেখালির খুড়া জগদীশকে আর এক দফা আশীৰ্বাদ ও ভগবানের কাছে তাহার জন্যে শুভ কামনা ইত্যাদি জানাইয়া গহনার বাক্সটি একটি কাপড়ে खpादेमा अश्ग्रा शाएँौप्ड शांदेग्रां ऊँब्रिा निश।