পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S008) নূতন-শ্রোতা कौव्रौवनाथ ठाकून আমার পড়ার মাঝে তারি। আসার ঘণ্টা যদি বাজে । সহজ মনে পারি যেন আসর ছেড়ে দিতে নতুন কালের বাঁশীটিরে নতুন প্ৰাণের গীতে। ভরে ছিলেম। এই ফাগুনের ডালা তা নিয়ে কেউ নাই বা গাথুক আর ফাগুনের মালা ৷ R বছর বিশেক চ’লে গেলো সাঙ্গ তখন ঠেলাগাড়ির খেলা ; নন্দ বললে, “দাদামশায় কি লিখেচ শোনাও তো এই বেলা ।” পড়তে গেলেম ভরসাতে বুক বেঁধে, কণ্ঠ যে যায় বেধে ; টেনে টেনে বাহির করি এ খাতা ঐ খাতা, উণ্টে মারি এ পাতা ঐ পাতা। ভয়ের চোখে যতই দেখি লেখা, মনে হয় যে রস কিছু নেই, রেখার পরে রেখা। গোপনে তার মুখের পানে চাহি, বুদ্ধি সেথায় পাহারা দেয় একটু ক্ষমা নাহি। নতুনকালের শান-দেওয়া তার ললাটখানি খরা খড়গসম শীর্ণ যাহা, জীৰ্ণ যাহা তার প্রতি নিৰ্ম্মম। তীক্ষু সজাগ আঁখি কটাক্ষে তার ধরা পড়ে কোথা যে কার ফাকি । সংসারেতে গৰ্ত্তগুহা যেখানে-যা সবখানে দেয়। উকি, আমিশ্র বাস্তবের সাথে নিত্য মুখোমুখি। তীব্ৰ তাহার হাস্য বিশ্বকাজের মোহমুক্ত ভাষ্য। একটু কেশে পড়া করলেম সুরুযৌবনে যা শিখিয়েছিলেন অন্তৰ্যামী আমার কবিগুরু উড়ো পাখীর ঘানার মতো যুগল কালো ভুরু ;