শ্ৰী রবীন্দ্ৰনাথ ঠাকুর মতা প্রতিমা দেবীকে লিখিত | bፖ ट्र्रश्नकडी, आउछ| কল্যাণীয়াসু— বোমা, বালি থেকে পার হয়ে জাভা দ্বীপে সুরবায়া সহরে এসে নামা গেল। এই জায়গাটা হচ্ছে বিদেশী সওদাগরদের প্রধান আখড়া । জাভার সব চেয়ে বড় উৎপন্ন জিনিষ চিনি, এই ছোট দ্বীপটি থেকে দেশ বিদেশে চালান যাচ্চে। এমন এককাল ছিল পৃথিবীতে চিনি বিতরণের ভার ছিল ভারতবর্ষের। আজ এই জাভার হাট থেকে চিনি কিনে বৌবাজারের ভীমচন্দ্ৰ নাগের সন্দেশ তৈরি হয়। ধরণী, স্বভাবত কি দান করেন। আজকাল তারই উপরে डबल ब्रांड coicण टैंकूल्ड श्म, भांश् कि आगांव क्'पद्म নিতে পারে। এইটেই হ’ল আসল কথা । গোরু আপনা গৃহস্থের শিশুদের পেট ভরিয়ে বৌবাজারের দোকানে গিয়ে পৌছবার পূর্বেই কেঁড়ে শূন্য হ’য়ে যায়। যারা ওস্তাদ গোয়ালা, তারা জানে কিরকম খোরাকি ও প্ৰজননবিধির দ্বারা গোরুর দুধ বাড়ানো চলে। এই দৃশ্যামল দ্বীপটি ওলন্দাজদের পক্ষে ধরণী-কামধেনুর দুধভরা বাটের মতো । তারা জানে কোন প্ৰণালীতে এই বঁট কোনো দিন একফোঁটা শুকিয়ে না যায়, নিয়ত দুধে ভ'রে থাকে, সম্পূর্ণ দুইয়ে নেবার কৌশলটাও তাদের আয়ত্ত। আমাদের কর্তৃপক্ষও তাদের গোয়ালবাড়ী ভারতবর্ষে বসিয়েছেন ; চা, আর পাট নিয়ে এতকাল তাদের হাট গুলজার হ’ল, কিন্তু এদিকে আমাদের চাষের ক্ষেত নিজীবী হ’য়ে এসেচে, সঙ্গে সঙ্গে জিব বেরিয়ে পড়ল চাষীদের । এতকাল পরে আজ হঠাৎ তাদের নজর পড়েচে আমাদের ফসলহীন দুর্ভাগ্যের প্রতি। কমিশন বসেচে, তার রিপোর্টও বেরবে। দরিদ্রের চাকাভাঙা মনোরথ রিপোর্টের টানে ন’ড়ে উঠবে কিনা জানিনে, কিন্তু রাস্তা বানাবার কাজে যে-সব রাজমজুর লাগবে মজুরী মিলতে তাদের অসুবিধে হবে না । মোট কথা, ওলন্দাজরা এখানে কৃষিক্ষেত্রে খুব ওস্তাদি দেখিয়েচে, তাতে এখানকার লোকের অন্নের ংস্থান হয়েচে, কর্তৃপক্ষেরও ব্যবসা চলেচে ভাল। এর মধ্যে তত্ত্বটা হচ্চে এই যে, দেশের প্রতি প্ৰেম জানাবার জন্যে দেশের জিনিষ ব্যবহার করব এটা ভাল কথা, কিন্তু দেশের প্ৰতি প্ৰেম জানাবার জন্যে দেশের জিনিষ উৎপাদনের শক্তি বাড়াতে হবে এটা হ’ল পাকা কথা। এইপানে বিদ্যার দরকার, সেই বিদ্যা বিদেশ থেকে এলেও তাকে গ্ৰহণ করলে আমাদের জাত যাবে না, পরন্তু জানা রক্ষা হবে । সুরবায়াতে তিন দিন আমরা যার বাড়ীতে অতিথি ছিলেম, তিনি সুরকীৰ্ত্তার রাজবংশের একজন প্ৰধান ব্যক্তি, কিন্তু তিনি আপন অধিকার ইচ্ছাপূর্বক পরিত্যাগ ক’রে এই সহরে এসে বাণিজ্য করচেন। চিনি রপ্তানির কারবার ; डांड ऊँद्र थझूठ भून्रु। भांश्चbि cोंौन অভিজাতকুলযোগ্য মৰ্যাদা ও সৌজন্যের অবতার। তার আপনি যে দুর্ঘটুকু দেয় তাতে যজ্ঞের আয়োজন চলে না, ছেলে আধুনিক কালের শিক্ষা পেয়েচেন ; বিনীত, নম্র, O S@ ዓ
