পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s૭૭છે ] Cቕ†ዓi Cቔዘጓi ནི། শ্ৰী রবীন্দ্ৰনাথ ঠাকুর সিধকাঠি,—এ ঘরে আনা চলবে না। কিন্তু তার চেয়েও ওকে এইটেই খোচা দিচ্চে যে, এখনো কুমুদিনীর কাছে ওর দাদাই সব চেয়ে বেশি। সেটা স্বাভাবিক ব’লেই যে সেটা সহ্য হয় তা নয়। পুরোণে জমিদারের জমিদারী নতুন ধনী মহাজন নিলেমে কেনার পর ভক্ত প্ৰজারা যখন সাবেক আমলের কথা স্মরণ ক’রে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলতে থাকে তখন আধুনিক অধিকারীর গায়ে জ্বালা ধরে, এও ८ऊनि । स्त्रांख ८९:क त्रांशिशे ६य ७व्र थक्षांखा, ५श्रे কথাটা যত শীঘ্ৰ হােক। ওকে জানান দেওয়া চাই। তাছাড়া গায়ে হলুদের খাওয়ানো নিয়ে বরের যা অপমান হয়েচে তাতে বিপ্ৰদাস নেই। এ কথা মধুসুদন বিশ্বাস করতেই পারে না । যদিও নবগোপাল বিবাহের পরদিনে ওকে বলেছিল, “ভায়া, বিয়ে বাড়িতে তোমাদের হাটখোলার আড়ৎ থেকে যে চালচলন আমদানি করেছিলে, সে কথাটা ইঙ্গিতেও দাদাকে জানিয়ো না ; উনি এর কিছুই জানেন না, ওর শরীরও বড়ো খারাপ।” আঙটির কথাটা আপাতত স্থগিত রাখলে, কিন্তু মনে রইলো। এ দিকে রূপ ছাড়া আরো একটা কারণে হঠাৎ কুমুদিনীর দর বেড়ে গিয়েচে। নুরনগরে থাকতেই ঠিক বিবাহের দিনে মধুসুদন টেলিগ্ৰাফ পেয়েচে যে এবার তিসি চালানের কাজে লাভ হয়েচে প্ৰায় বিশ লাখ টাকা । সন্দেহ রইলো না, এটা নতুন বধুর পয়ে। স্ত্রী ভাগ্যে ধন, তার প্রমাণ হাতে হাতে। তাই কুমুকে পাশে নিয়ে গাড়িতে ব’সে ভিতরে ভিতরে এই পরম পরিতৃপ্তি তার ছিলো যে, ভাবী মুনাফার একটা জীবন্ত বিধিদত্ত দলিল নিয়ে বাড়ি চলেচে। এ নইলে আজকের এই ব্রুহাম রথযাত্রার পালটায় অপঘাত ঘটতে পারত। 及》 রাজা উপাধি পাওয়ার পর থেকে কলকাতায় ঘোষালবাড়ির দ্বারে নাম খোদা হয়েচে, “মধু প্ৰাসাদ”। সেই প্রাসাদের লোহার গেটের এক পাশে আজ নহবৎ বসেচে, আর বাগানে একটা তাবুতে বাজাচে ব্যাণ্ড। গেটের মাথায় অৰ্দ্ধচজাকারে গ্যাসের পাইপে লেখা, "প্রজাপতিয়ে নমঃ"। সন্ধ্যাবেলায় আলোকশিখায় এই লিখনটি সমুজ্জল হবে। গেট থেকে কঁাকর-দেওয়া যে-পথ বাড়ি পৰ্য্যন্ত গেছে, তার দুইধারে দেবদারু পাতা ও গাদার মালায় শোভা-সজ্জা ; বাড়ির প্রথম তলার উচু মেঝুেতে ওঠবার সিড়ির ধাপে লালসালুপতা। আত্মীয় বন্ধুর জনতার ভিতর দিয়ে বারকনের গাড়ি গাড়ি-বারান্দায় এসে থামালো। শাখ, উলুধ্বনি, ঢাকা, ঢোল, কঁাসির, নহবৎ, ব্যাণ্ড সব এক সঙ্গে উঠল বেজে-যেন দশ পনেরোটা আওয়াজের মালগাড়ির এক জায়গাতে পুরো বেগে ঠোকাঠুকি ঘাঁটুলো। মধুসূদনের কোন এক সম্পর্কের দিদিমা, পরিপক্ক বুড়ি, সিঁথিতে যত মোটা ফাক তত মোটা সিদূর, চওড়া লাল পেড়ে সাড়ি, মোটা হাতে মোটা মোটা সোনার বালা এবং শাখার চুড়িএকটা রূপোর ঘটতে জল নিয়ে। বউ-এর পায়ে ছিটিয়ে দিয়ে আশাচলে মুছে নিলেন, হাতে নোয়া পরিয়ে দিলেন, বউ-এর মুখে একটু মধু দিয়ে বললেন, “আহা, এতদিন পরে আমাদের নীল গগনে উঠলে পূর্ণচাঁদ, নীল সরোবরে ফুটল সোনার পদ্ম।” বর কনে গাড়ি থেকে নাবিলো। যুবক অভ্যাগতদের দৃষ্টি ঈর্ষান্বিত। একজন বললে, “দৈত্য স্বৰ্গ-লুঠ ক’রে এনেচে রে, অপসারী সোনার শিকলে বাধা ।” আর একজন বললে, “সাবেককালে এমন মেয়ের জন্যে রাজায় রাজায় লড়াই বেধে যেতো, আজ তিসি-চালানির টাকাতেই কাজ সিদ্ধি। কলিযুগে দেবতাগুলো বেরসিক, ভাগ্যচক্রের সব গ্ৰহনক্ষত্রই বৈশ্যবর্ণ।” তারপরে বরণ, স্ত্রী-আচার প্রভৃতির পালা শেষ হ’তে হ’তে যখন সন্ধ্যা হ’য়ে আসে তখন কাল-রাত্রির মুখে ক্রিয়াकन्ट्री मात्र ८ङ्cव्ा । একটিমাত্র বড়ো বোনের বিবাহ কুমুর স্পষ্ট মনে আছে। কিন্তু তাদের নিজেদের বাড়িতে কোনো নতুন বৌ আসতে • সে দেখেনি। যৌবনারম্ভের পূর্বে থেকেই সে আছে কল কাতায়, দাদার নিৰ্ম্মল স্নেহের আবেষ্টনে। বালিকার মনের কল্পজগৎ সাধারণ সংসারের মোট ছাচে গড়া হ’তে পায়নি। বাল্যকালে পতি কামনায় যখন সে শিবের পূজা করেচে, তখন পতির ধ্যানের মধ্যে সেই মহাতপস্বী রজতাগিরিনিত শিবকেই দেখেচে । সাধবী নারীর আদর্শরূপে” সে আপন