পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yenes ) যোগাযোগ ܬܬ. শ্ৰী রবীন্দ্ৰনাথ ঠাকুর “না ভাই, অনেক রাত হয়ে গেছে। এখন শুতে যাক-এ বাড়িতে ওকে খুব সহজেই মিলবে, ওর মতো শস্ত চুলে আর কেউ নেই।”-ব’লে মোতির মা অনিচ্ছুক ছেলেকে শোয়াবার জন্যে নিয়ে গেলো। এই এতটুকুতেই কুমুর মনের ভার গেলো হালকা হ’য়ে। ওর মনে হোলো প্রার্থনার জবাব পেলুম, জীবনের সমস্ত সহজ হ’য়ে দেখা দেবে, এই ছোট ছেলেটির মতোই। RV) অনেক রাত্তিরে, মোতির মা এক সময়ে জেগে উঠে দেখলে কুমু বিছানায় উঠে ব’সে আছে, তার, কোলের উপর দুই হাত জোড়া, ধ্যানাবিষ্ট চোখ দুটি যেন সামনে কাকে দেখতে পাচ্চে। মধুসুদনকে যতই সে হৃদয়ের মধ্যে গ্ৰহণ করতে বাধা পায়, ততই তার দেবতাকে দিয়ে সে তার স্বামীকে আবৃত করতে চায়। স্বামীকে উপলক্ষ্য ক’রে আপনাকে সে দান করাচে তার দেবতাকে । দেবতা তার পূজাকে বড়ো কঠিন করেচেন, এ প্ৰতিমা স্বচ্ছ নয়, কিন্তু এই তো ভক্তির পরীক্ষা। শালগ্ৰামশিলা তো কিছুই দেখায় না, ভক্তি সেই রূপহীনতার মধ্যে বৈকুণ্ঠনাথের রূপকে প্ৰকাশ করে কেবল আপনি জোরে । যেখানে দেখা যাচ্চে না সেইখানেই দেখবো। এই হোক আমার সাধনা, যেখানে ঠাকুর লুকিয়ে থাকেন। সেইখানে গিয়েই র্তার চরণে আপনাকে দান করবো, তিনি আমাকে এড়াতে পারবেন না। “মেরে গিরিধর গোপাল, ঔর নাহি কোহি”- দাদার কাছে শেখা মীরা বাইএর এই গানটা বারবার মনে মনে আওড়াতে লাগলো। মধুসূদনের অত্যন্ত রূঢ় যো-পরিচয় সে পেয়েছে—তাকে কিছুই নয় ব’লে, জলের উপরকার বুদবুদ ব’লে, উড়িয়ে দিতে চায়-চিরকালের যিনি সত্য, সমস্ত আবৃত ক’রে তিনিই আছেন, “ঔর নাহি কোহি, ঔর নাহি কোহি ।” এ शंकृत्रांद्र थक औफुन श्रांप्छ छांप्रु७ भांब्रा बव्ष्ड् फ्रांब्रসে হচ্চে জীবনের শূন্যতা। আজ পৰ্যন্ত যাদের নিয়ে ওর সমস্ত কিছু গ’ড়ে উঠেচে, যাদের বাদ দিতে জীবনের অর্থ থাকে না, তাদের সঙ্গে বিচ্ছেদ,-সে নিজেকে বলচে এই শূন্যও পুর্ণ “বাপে ছাড়ে, মায়ে ছাড়ে, ছাড়ে সগা সহী, মীরা প্ৰভু লগন লাগী যো ন হোবে হোয়ী।” ছেড়েচেন তো বাপ, ছেড়েছেন তো মা, কিন্তু তেঁাদের छिउंब्रशे शिनेि ब्रुिकांगकांब्र ऊिनि ८ऊा छांफुननि । ठाकूख আরো যা-কিছু ছাড়ান না কেন, শূন্য ভরাবেন ব'লেই ছাড়িয়েচোন। আমি লেগে রইলুম, যা হয় তা হোক! মনের গান কখন তার গলায় ফুটে উঠল তা টেরই পেলে না-দুই চোখ দিয়ে জল পড়তে লাগলো। মোতির মা কথাটি বললে না, চুপ ক’রে দেখলে, আর শুনলে। তার পরে কুমু যখন অনেকক্ষণ ধ’রে প্রণাম ক’রে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে শুয়ে পড়লো তখন মোতির মার মনে একটা চিন্তা দেখা দিলে যা পুর্বে আর কখনো ভাবেনি । ও ভাবতে লাগলে আমাদের যখন বিয়ে হয়েছিল তখন আমরা তো কচি খুঁকি ছিলুম, মন বলে একটা বালাই ছিল না । ছোটোছেলে কঁচা ফলটাকে যেমন টপ ক’রে বিনা আয়োজনে মুখে পুরে দেয়, স্বামীর সংসার তেমনি ক’রেই বিনা বিচারে আমাদের গিলেচে, কোথাও কিছু বাধেনি। সাধন ক’রে আমাদের নিতে হয়নি, আমাদের জন্যে দিন গোনা ছিল অনাবশ্যক। যেদিন বললে ফুলশয্যে সেই দিনই হলো ফুলশষ্যে, কেননা ফুলশয্যের কোনো মানে ছিল না, সে ছিলো একটা খেলা ৷” এই তো কালই হবে ফুলশষ্যে, কিন্তু এ মেয়ের পক্ষে সে কতবড়ো বিড়ম্বনা ! বড়ো ঠাকুর এখনো পর ; আপন হাতে অনেক সময় লাগে। একে ছোবে কি ক’রে ? এ মেয়ের সেই অপমান সইবে কেন ? ধন পেতে বড়ো ঠাকুরের কতকাল লাগলো। আর মন পেতে দুদিন সবুর সইবে না ? সেই লক্ষ্মীর দ্বারে হাটহঁট ক’রে মনুতে হয়েচে, এ লক্ষ্মীর দ্বারে একবার হাত পাততে হবে না ? এত কথা মোতির মার মনে আসত না। এসেচে। তার কারণ, কুমুকে দেখােবামাত্রই ও তাকে সমস্ত মনপ্ৰাণ कािळ उांगांप्रगळ धरे उांगांबांगांब्र त्रूफूषिक