পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sees অলক্ষিত 何哥-哥外e Roa) শ্ৰীয় মেশ রেখার দিকে নজর দেবার একটা অভ্যাস হয়ে উঠেছিল। বছর পাঁচেক আগে একবার তাকে খুব অসুখে ভুগে সেরে উঠবার সময়ে ডাক্তারের পরামর্শ মত ধরাবাধা নিয়মে অনেকক্ষণ চিৎ ও অনেকক্ষণ কাৎ হয়ে হয়ে থাকতে হ’ত, যাতে রক্তের চলাচলের কোন অসুবিধা না হয়। এই অবস্থায় বিছানায় পড়ে পড়ে তার দৃষ্টি স্বভাবতঃই দেয়ালে, ছাতে, কড়িতে, বৰ্গীয় ও দরজায়, জানালায় বা মেজেতে ঘুরে বেড়াত, এবং হঠাৎ কোনো জায়গায় রেখার জঞ্জাল বা পেচODBK DLL DEDY BB sDD EB B s DDD ও ক্রমে একটা ছবির আদরা ফুটে উঠত। শরীরের অসুখের চেয়ে এই আবৃছিায়া-ছবিকে মনের মধ্যে ও কাগজের উপরে ধরে রাখবার জন্য তার অসোয়াস্তি বাড়তে লাগল। ক্রমে এই খেয়ালকে আকার দেবার জন্য তঁর আগ্রহের আর সীমা থাকুল না ও অসুখ থেকে উঠে৷ ইহা তার মনের পক্ষে টনিকের কাজই করেছিল। জেলে আটক থাকবার কালে অনেকে সাহিতা, ইতিহাস বা দর্শনের উপর বই লিখে সমাজের জ্ঞান-বস্তুকে বাড়িয়েছেন, কিন্তু অসুখের মধ্যে এরূপভাবে সৌন্দর্যের মৃগয়া করতে, যেয়ে আবার চোখের অসুখ সৃষ্টি আর কেউ করেছেন কি না। আমাদের अॉनों 6नई । এবার এই চিত্রের কারিকুরি নিয়ে গুটিকয়েক কথা বলা দরকার। অতি-প্ৰথমে রেখার হিজিবিজির মধ্যে একটুआश क्रों-लडांदनांक भएन श्ड ‘बcal श्र भाव। श् भडिভ্ৰমো নু” । যে পাখী আকাশে উড়ে বেড়ায় তার ছায়াকে যেমন ধরা-ছোঁয়া যায় না, তেমনি যে রূপ কোনো বস্তুর LL D BBDLDLL BD BDB BDD DBDBK D KS মনে মনে একটা আদরা আঁচতে যেয়ে আর একটা এসে তার জায়গা দখল করে নিয়ে নেয়, আর আগেরটা দেখতে না দেখতে উধাও হয়ে যায়। একটু বেশী অভ্যাস হয়ে এলে একটার খোজে হয়ত পাঁচটার আভাস মিলতে পারে। অথচ কোনটাই ঠিক রকমে পাওয়া:যায় না। কোন কোন ক্ষেত্রে সব গুলিয়ে গিয়ে, আসলটও হারিয়ে বা তলিয়ে যায়। অবশেষে একখানাতে এসে দৃষ্টি একটু স্থির আশ্ৰয় পেল। প্রথম যে ছবি খানা কতকটা সফলতার দাবি করতে পারে তা রেখার আশ্রয়ে হয়নি, আলকাতার চাঁটে যেয়েই হয়েছিল। তাও দৈত্যদানবের মতই দেখাচ্ছিল। আগে দেখে নিয়ে তারপর श्लू-शcडन छांटन (fraehand) जांकुड शिप्न cनथl cशंण যে ওতে আশার অনুরূপ :ফল (effect) পাওয়া যাচ্ছে না । তখন ঐ সব সম্ভাবিত জায়গার উপরে কাগজ পেতে তার উপরে রেখাগুলো যেমনি অনুসরণ করবার (trace) চেষ্টা করা হয়েছিল। এতে আরেক বিপদ ঘটে। যে যে রেখাগুলো দরকারী সেগুলো হারিয়ে যায়, আর যেখানে চটা আছে তা ভেঙ্গে সম্ভাবিত রূপখানি একদম নষ্ট হয়ে যায়। Victor magnifying glass (SCSC it cits fict তার সাহায্যে ছবি তোলা অনেকটা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু চোখ বুলিয়ে যা দেখা যায় তার রেখাগুলো সব সময় মনের মধ্যে চোখের সামনে ঠিক একই ভাবে থাকে না, ওগুলো K BD D DD DDD D S sBB BDD BBB ক্ষেত্রে চোখে দেখা রেখাগুলোকে দীর্ঘদিন অনেকক্ষণ চোখ বুজে মনের মধ্যে সাজিয়ে ও গুছিয়ে নিতে হয়েছে। এইরূপ চেষ্টার ফলে যে যে রেখাগুলো কোনো একটা ছবির পক্ষে অনাবশ্যক সেগুলোকে বাতিল করা ও যেগুলো না হ’লে ঐ ছবি ছবিই হয় না সেগুলোকে হাসিল করা সম্ভব হয়েছে, আর মনের মধ্যে ঐ রূপ ধারণাটা গেথে গেলেই বাইরে মূৰ্ত্তিটাকে স্থায়ী (steady) ভাবে দেখা যেতে লাগল। রূপকথার জনমানবহীন বিশাল রাজপুরীতে যেমন কোনো একটি কক্ষে একটিমুত্র ক্ষীণ-খিন্না রাজকুমারী অঘোর ঘুমে অচেতন হয়েছিল, তার জীবনকাঠি মরণকাঠি দুটি তার অতি কাছেই পড়ে থাকত-তেমনি এক অলক্ষিত চিত্রের মায়াপুরীতেই রূপসুন্দরীকে জাগাবার বা ঘুম পাড়াবার সোনারকাঠি ও রূপারকাঠি একটু বিশেষ করে সন্ধান করলেই ক্ৰমে মিলে যেতে পারে। অবশ্য তা সবখানেই যে মিলবে তা নয় ; অনেক আভাস চেষ্টার মুখেই একেবারে লয় পেয়েও যায়। আবার হয়ত, বোঝাও যায়নি এমন এক জায়গায় একটি ধরা পড়েছে তার সোনারূপার কাঠি সুদ্ধ। সাড়ে তিন বছরের প্রয়াস অনেক রূপ মরীচিকার মধ্য দিয়ে তাকে এই সত্যে এনে পৌছতে পেরেছিল।