বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sćły পাইয়াছে যে জ্যোতি এমন কিছু, যার কাছে ভূপতি কোনও অন্যায়। কাজের কথা প্ৰকাশ করিতে ভয় পায় ;-এমন এক জন যার পক্ষে কোনও অন্যায় কাজ করা বা অন্যায় কাজের প্রশ্ৰয় দেওয়া ভূপতি অসম্ভব মনে করে, তাই জ্যোতির বিষয়ে ভূপতির এত ভয়। তা ছাড়া ভূপতি ইহাও বলিয়াছে যে বড় মেধাবী ছাত্র ছিল জ্যোতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্ৰেষ্ঠ ছাত্র-তার তুল্য কেউ নাই। এমন একটা মেধা সে, ভূপতির মতে, অপব্যয় করিয়াছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে,পণ্ডিতের জগতে, ধনীর সমাজে যে সম্মান সে চাহিলেই পাইতে পারিত তাহা তুচ্ছ করিয়া সে এক অখ্যাত পল্লীর মধ্যে খোলা ঘরে বাস করিয়া যত সব ছোট লোকের ছেলে মেয়েদের লইয়া কি সব কাণ্ড করিতেছে । শুনিয়া বিলাসের মন প্ৰশংসায় ভরিয়া উঠিত। সে কল্পনা করিত এক প্ৰকাণ্ড ত্যাগী কৰ্ম্মবীরের, যে নিজের অতুল প্ৰতিষ্ঠা অনায়াসে অবহেলা করিয়া দরিদ্রের সেবায় জীবন নিযুক্ত করিয়াছে। মনে মনে সেতাকে অসংখ্য প্ৰণিপাত করিত। তাই জ্যোতিকে দেখিবার, তাকে জানিবার জন্য তার লোভের অন্ত ছিল না । কিন্তু সে লোভ তার মনেই সে চাপিয়া রাখিত, কেননা সে বুঝিয়াছিল জ্যোতির পক্ষে বেশুষ্ঠার সংস্পর্শে আসা অসম্ভব । সেই অসম্ভব। আজ সম্ভব হইয়াছিল। জ্যোতি আপনি আসিয়া বিলাসকে খুজিয়া বাহির করিয়াছিল, বিলাসের তাকে ডাকিতে হয় নাই। এ সৌভাগ্যের আনন্দে অধীর হইয়া বিলাস সাজিয়া আসিয়াছিল তার শ্রেষ্ঠ পরিচ্ছদে, তার রূপ যাতে শতগুণ ফুটিয়া ওঠে তেমনি করিয়া সে আপনাকে সাজাইয়াছিল। মূঢ়া সে তাই বাহিরের সজ্জা লইয়া আসিয়াছিল জ্যোতির কাছে। তার রূপ তো জ্যোতির চোখে আনন্দের দুতি ফুটাইয়া তুলিতে পারে নাই। সব সজ্জা দূর করিয়া ফেলিয়া যদি সে কোনও ইন্দ্ৰজাল বলে তার অন্তরের সব গোপন সম্পদ নগ্ন করিয়া অর্থ্যরূপে জ্যোতির সম্মুখে ধারিত তবে কি সে তাকে এমনি করিয়া অবহেলা করিতে পারিত। চোখে যদি সে সব দেখান যাইত। তবে জ্যোতি কি শ্ৰদ্ধায় তার কাছে প্ৰণত হইয়া পড়িত না ? কিন্তু সে সব কিছুই 16> [भांच জ্যোতি দেখিতে পাইল না, দেখিল শুধু নিলাজ সজ্জার छांद्र ह्रषिऊा दांब्रांत्रांना ! श अट्टे ! অনেক দিনের স্বপ্ন তার আজ সফল হইয়াছিল। জ্যোতিকে সে সামনে পাইয়াছিল, তার এই চোখ দুটি দিয়া দেখিয়াছিল। দেখিয়া বুঝিল স্বপ্ন তার পরাজিত। কি রূপ তার। এত রূপ কি মানুষের হয় ? রূপের ভিতর দিয়া ফুটিয়া উঠিয়াছে কি এক জ্যোতিৰ্ম্ময় প্ৰাণ-সব রূপ ভেদ করিয়া তার ছটা যেন বিলাসের চোখ বিধিয়া ফেলিয়াছিল। জ্যোতির যে মানসমূৰ্ত্তি বিলাস মনে আঁকিয়াছিল, তাকে লজ্জা দিল জ্যোতির রক্ত মাংসের দেহ। পায়ের তলায় তার লুটাইয়া পড়িতে সাধ গিয়াছিল, কিন্তু -এমন পুরুষকে কিনা সে ভুলাইতে গিয়াছিল তার সুলভ হাস্যের দ্বারা ! কি লজ্জা সে আজ পাইল ! পরাজিত লাঞ্ছিত হইয়া, তার রূপ-রাশি, মনোহর বেশভুষা, তার ছলা কলা, শুধু তার অন্তরকে আগুনে দগ্ধ করিয়া মারিল। সে কেন শুধু দীনবেশে তার পায় লুটাইয়া পড়িয়া ভিখারী হইয়া তার আশ্ৰয় প্রার্থনা করিল না । দয়াবীর জ্যোতি তো ऊांश श्टल प्रशांग्र झूo दछेड नां । সে গিয়াছিল মদনকে সহায় করিয়া শিবকে জয় করিতে - প্ৰতিফলে পাইয়াছে নিদারুণ লজ্জা, অসহ্য মৰ্ম্মপীড়া ! জ্যোতি স্নিগ্ধ মধুর ভাষায় কথা বলিয়াছিল, একটা কঠোর কথা তাকে বলে নাই, কিন্তু সব কথার তলায় বিলাস শুনিতে পাইয়াছিল শুধু এক অকরুণ তিরস্কার ও ঘূণার সুর -८गरे ६यन गर्दोनांश्लं कब्रिांप्छ् छ्नडिगा ! कि अछांग्र १ তিরস্কার। সে কি করিয়াছে ভূপতির ? ভূপতি তার কাছে আসে, তাকে ভালবাসে, বিলাস প্ৰতিদানে তাকে ভালবাসা দিয়াছে, যত্ন দিয়াছে, বিধিমতে আনন্দ দিবার চেষ্টা कब्रिांप्छ । ७हे उांद्र अश्रद्धांक्ष! छ्त्रांख्रि उारक चानक সম্পদ দিয়াছে সত্য, কিন্তু সে কি চাহিয়াছিল। এত ? তা ছাড়া সে কি জানিত যে ভূপতি আপনাকে সৰ্ব্বস্বাত্ত করিয়া দিয়াছে ? তবে তার কি দোষ ? ভূপতিকে সে সুরমার প্রতি অবিশ্বাসী করিয়াছে, সুরমার হাত হইতে ভূপতিকে সে কাড়িয়া লইয়াছে জ্যোতির কথায় ভিতর এই যে অভিযোগ, এটাও যে কত বড় অসত্য।