পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৩৪ ] জাভাযাত্রীর পত্ৰ >१ वैौब्रौवनांथ ॐांकूत्र সেই জিনিষটিকে গম্ভীর, প্রশস্ত, সুনিপুণ, বহুযন্ত্রমিশ্ৰিত বিচিত্র আকারে এদের বান্তসঙ্গীতে যেন পাওয়া যায়। রাগ রাগিণীতে আমাদের সঙ্গে কিছুই মেলে না, যে অংশে মেলে সে হচেচ এদের মৃদঙ্গের ধবনি, সঙ্গে করতালও আছে। ছোটো বড়ো ঘণ্টা এদের এই সঙ্গীতের প্রধান অংশ । আমাদের দেশের নাট্যশালায় কন্সট বাজনার যে নূতন রীতি হয়েছে। এ সে রকম নয়—অথচ যুরোপীয় সঙ্গীতে বহুষন্ত্রের যে হাৰ্ম্মনি এ তাও নয়। ঘণ্টার মতো শব্দে একটা মূল স্বর-সমাবেশ কানে আসচে। তার সঙ্গে নানা প্ৰকার যন্ত্রের নানা রকম আওয়াজ যেন একটা কারুশিল্পে গাথা হ’য়ে উঠচে। সমস্তটাই যদিও আমাদের থেকে একেবারেই স্বতন্ত্র তৰু শুনতে ভারি মিষ্টি লাগে। এই সঙ্গীত পছন্দ করতে য়ুরোপীয়দেরও বাধে না । গামেলান বাজনার সঙ্গে ছোটাে মেয়ে দুটি নাচলে, তার শ্ৰী অত্যন্ত মনোহর। অঙ্গে-প্ৰত্যঙ্গে সমস্ত শরীরে ছন্দের যে আলোড়ন তার কী চারুতা, কী বৈচিত্ৰ্য, কী সৌকুমাৰ্য্য, কী সহজ লীলা । অন্য নাচে দেখা যায় নটী তার দেহকে চালনা করাচে ; এদের দেখে মনে হ’তে লাগল, দুটি দেহ যেন স্বত-উৎসারিত নাচের ফোয়ারা। বারো বছরের পরে এই মেয়েদের আর নাচতে দেওয়া হয় না, বারো বছরের পরে শরীরের এমন সহজ সুকুমার হিল্লোল थक क्gद न्यू । সেই সন্ধ্যা বেলাতেই রাজবাড়িতে আর একটি ব্যাপার দেখলুম, মুখোষপরা নাটদের অভিনয়। আমরা জাপান থেকে যে-সব মুখোষ এনেছিলুম তার থেকে বেশ বোঝা যায় মুখোষ তৈরি এক প্রকারের বিশেষ কলাবিদ্যা। এতে যথেষ্ট গুণাপনা চাই। আমাদের সকলেরই মুখে যেমন ব্যক্তিগত তেমনি শ্রেণীগত বিশেষত্ব আছে। বিশেষ ছাচ ও ভাব প্ৰকাশ অনুসারে আমাদের মুখের ছাদ এক • এক রকম শ্রেণী নির্দেশ করে। মুখোষ তৈরি যে গুণী করে সে সেই শ্রেণী-প্ৰকৃতিকে মুখোষে বেঁধে দেয়। সেই বিশেষ শ্রেণীর মুখের ভাব-বৈচিত্ৰ্যকে একটি বিশেষ ছাদে , সে সংহত করে। নট সেই মুখোষ পারে এলে আমরা তখনি দেখতে পাই একটা বিশেষ মানুষকে কেৱল নয়, বিশেষ ভাবের এক শ্রেণীর মানুষকে । সাধারণতঃ অভিনেতা ভাব অনুসারে অঙ্গভঙ্গী করে। কিন্তু মুখোষে মুখের ভঙ্গী স্থির ক’রে বেঁধে দিয়েচে । এইজন্যে অভিনেতার কাজ হচ্চে মুখোষেরই সামঞ্জস্য রেখে অঙ্গভঙ্গী করা। মূল ধূয়োটা তার বাধা, এমন ক’রে তাল দিতে হবে যাতে প্ৰত্যেক সুরে সেই झूल्यांत्रीब बाथ) श्न, किकू अनक्र না হয়। এই অভিনয়ে তাই দেখলুম। অভিনয়ের সঙ্গে এদের কণ্ঠসঙ্গীত যা শুনচি তাকে সঙ্গীত বলাই চলে না। আমাদের কানে অত্যন্ত বেসুরে এবং উৎকট ঠেকে। এখানে আমরা তো গ্রামের কাছেই আছি, এরা কেউ একলা কিম্বা দল বেঁধে গান গাচে এতো শুনিনি। আমাদের পাড়াগায়ে চাদ উঠেছে অথচ কোথাও গান ওঠেনি। এ সম্ভব হয় না। এখানে সন্ধ্যার আকাশে নারকেল গাছগুলির মাথার উপর শুক্লপক্ষের চাদ দেখা দিচ্চে, গ্রামে কুঁকড়ে ডাকচে, কুকুর ডাকচে, কিন্তু কোথাও মানুষের গান নেই। এখানকার একটা জিনিষ বার বার লক্ষ্য ক’রে দেখোঁচি, ভিড়ের লোকের আত্মসংযম। সেদিন গিয়ানিয়ারের রাজবাড়িতে যখন অভিনয় হচ্ছিল। চারদিকে অবারিত লোকের সমাগম। সুনীতিকে ডেকে বললুম, মেয়েদের কোলে শিশুদের আৰ্ত্তিরব শুনিনে কেন ? নারীকণ্ঠই বা এমন সম্পূর্ণ নীরব থাকে কোন আশ্চৰ্য্য শাসনে ? মনে পড়ে কলকাতার থিয়েটারে মেয়েদের কলালাপ ও শিশুদের কান্না বন্যার মতো কমেডি ও ট্র্যাজেডি ছাপিয়ে দিয়ে কি রকম অসংযত অসভ্যতার হিল্লোল তোলে। সেদিন এখানে দুই একটি মেয়ের কোলে শিশুও দেখোঁচি কিন্তু তারা কাদাল नl cंकन ? একটা জিনিষ এখানে দেখা গেল। যা আর কোথাও দেখিনি। এখানকার মেয়েদের গায়ে গয়না নেই। কখনো কখনো কারো এক হাতে একটা চুড়ি দেখোঁচি সেও সোনার DBD S DB DD DBSDD DBBD BBBBB BDD it পরেচে। বোধ হচে যেন অজন্তার ছবিতেও এ রকম কৰ্ণভূষণ দেখেচি। আচৰ্য্যের বিষয় এই যে, এদের আর সকল কাজেই অলঙ্কারের বাহুল্য ছাড়া বিরলতা নেই। যেখানে