পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N O டு ca<CS VeNtAS vs 3 aCv AgfĞ vós CM&V CofCRCba ব’লে আত্মীয়েরা স্থির করেচে, তাই এত বেশি ঘটা । এত ঘটা অনেক বৎসর হয়নি, আর কখনো হবে কিনা সকলে সন্দেহ করচে। কেননা আধুনিক কাল তার কাটারি হাতে পৃথিবী ঘুরে বেড়াচ্চে অনুষ্ঠানের বাহুল্যকে খৰ্ব করুবার জন্যে, তার একমাত্র উৎসাহ উপকরণ-বাহুল্যের দিকে । এখানকার লোকে বলচে সমারোহে খরচ হবে এখানকার টাকার প্রায় চল্লিশ হাজার, আমাদের টাকার পঞ্চাশ হাজার। ব্যয়ের এই পরিমাণটা সকলেরই কাছে অত্যন্ত বেশি ব’লেই ঠেক্‌চে । আমাদের দেশের বড়ো লোকের শ্ৰাদ্ধে পঞ্চাশ হাজার টাকা বেশি কিছুই নয়। কিন্তু প্ৰভেদ হচ্চে আমাদের শ্রাদ্ধের খরচা ঘটা করবার জন্যে তেমন নয়। যেমন পুণ্য করবার জন্যে। তার প্রধান অঙ্গই দান, পরলোকগত আত্মার কল্যাণ কামনায় । এখানকার শ্রাদ্ধেও স্থানীয় ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতকে অর্ঘ্য ও আহাৰ্য্য দান যে নেই তা নয়। কিন্তু এর সব চেয়ে ব্যয়সাধ্য অংশ সাজসজ্জা । সে সমস্তই চিতায় uDD BDDS sB BBBD DDD S DBDBSBD BDSDB sLEEB আন্তরিক অনুমোদন নেই সেটা সেদিনকার অনুষ্ঠানের একটা ব্যাপারে বোঝা যায়। কালো গোরুর মূৰ্ত্তি, তার পেটের মধ্যে মৃতদেহ, রাস্তা দিয়ে এটাকে যখন বহন ক’রে নিয়ে যায়, তখন শোভাযাত্রার ভিন্ন ভিন্ন দলের মধ্যে ঠেলা ঠেলি ED DDBS DDD DBD BBBDBBDB GLS DD DBDBBDS বাহকের তাড়া খায়, ঘুরপাক দেয়। এইখানেই আগম, অর্থাৎ যে-ধৰ্ম্ম বাইরে থেকে এসেছে তার সঙ্গে এদের নিজের হৃদয়বৃত্তির বিরোধ। আগমেরই হ’ল জিৎ, দেহ হ’ল isfir छेबूष द’ण खांशशांव्र ब्रांखांब्रा घाब्रधारे आश्र्वांन । उिनि যখন শাস্ত্ৰজ্ঞ ব্ৰাহ্মণ ব’লে সুনীতির পরিচয় পেলেন সুনীতিকে জানালেন, শ্ৰাদ্ধক্রিয়া এমন সৰ্ব্বাদসম্পূর্ণভাবে «Չ ÇԿատ পুনৰ্বার হবার সম্ভাবনা খুব বিরল। অতএব এই অনুষ্ঠানে সুনীতি যদি যথারীতি শ্ৰাদ্ধের বেদমন্ত্র পাঠ করেন তবে তিনি তৃপ্ত হবেন। সুনীতি ব্ৰাহ্মণসজ্জাম্বু ধূপধুনাে জালিয়ে ‘মধুবাতা ঋতায়ন্তে” এবং কঠোপনিষদের শ্লোক প্ৰভৃতি [ পৌষ উচ্চারণ ক’রে শুভকৰ্ম্ম সম্পন্ন করেন। বহুশতবৎসর পূর্বে একদিন বেদমন্ত্রগানের সঙ্গে এই দ্বীপে শ্ৰাদ্ধক্রিয়া আরম্ভ হয়েছিল, বহুশত বৎসর পরে এখানকার শ্রাদ্ধে সেই মন্ত্র হয়তো বা শেষবার ধবনিত হল। মাঝখানে কত বিস্মৃতি কত বিকৃতি। রাজা সুনীতিকে পৌরোহিত্যের সম্মানের জন্যে কি দিতে হবে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। সুনীতি বলেছিলেন এই কাজের জন্যে অর্থ গ্ৰহণ র্তার ব্ৰাহ্মণবংশের রীতিবিরুদ্ধ। রাজা তাকে কৰ্ম্ম-অন্তে বালির তৈরি মহার্ঘ্য বস্ত্র ও আসন দান করেছিলেন । এখানে একটা নিয়ম আছে যে, গৃহস্থের ঘরে এমন কারো যদি মৃত্যু হয় যার জ্যেষ্ঠরা বৰ্ত্তমান তাহ’লে সেই গুরুজনদের মৃত্যু না হ’লে এর আর সৎকার হবার জো নেই। এই জন্য বড়দের মৃত্যু হওয়া পৰ্যন্ত মৃতদেহকে রেখে দিতে হয়। তাই অনেকগুলি দেহের দাহ ক্রিয়া এখানে একসঙ্গে ঘটে। মৃতকে বহুকাল অপেক্ষা ক’রে থাকতে হয়। সৎকারের দীর্ঘকাল অপেক্ষার আরো একটা কারণ, সৎকারের উপকরণ ও ব্যয়বাহুল্য। তার জন্যে প্ৰস্তুত হ’তে দেরী হ’য়ে যায়। তাই শুনেচি এখানে কয়েক বৎসর অন্তর বিশেষ বৎসর আসে তখন অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হয়। শবধার বহন ক’রে নিয়ে যাবার জন্যে রথের মতো যে একটা মস্ত উচু যান তৈরি হয়, অনেক সংখ্যক বাহকে মিলে সেটাকে চিতার কাছে নিয়ে যায়। এই বাহনকে বলে ওয়াদা। আমাদের দেশে ময়ুরপংখী যেমন ‘ময়ূরের মূৰ্ত্তি দিয়ে সজ্জিত, তেমনি এদের এই ওয়াদার গায়ে প্ৰকাণ্ড DD gBDB BDDDB BS CBDB DDB DBBt DBDB DDD পাখা, সুন্দর ক’রে তৈরি। শিল্পনৈপুণ্যে বিস্মিত হ’তে হয়। শ্রাদ্ধের এই নানাবিধ উপকরণের আয়োজন মনের ভিতরে সবটা গ্ৰহণ করা বড়ো কঠিন। যেটা সব চেয়ে দৃষ্টি ও মনকে আকর্ষণ করে সে হচ্চে জনতার অবিশ্রাম ধারা। বহুদূর ও নানাদিক থেকে মেয়েরা মাথায় কত রকমের অর্ঘ্য বহন ক’রে সার বেঁধে রান্ত দিয়ে চলেচে । দূরে দূরে গ্রামে গ্রামে, যেখানে অর্ঘ্য মাথায় বাহকেরা যাত্রা করতে প্ৰস্তুত, সেখানে গ্রামের তরুচ্ছায়ায় গামেলান বাজিয়ে এক একটি স্বতন্ত্র উৎসব চলচে। সৰ্বসাধারণে মিলে দলে