পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৩৪ ] জাভাযাত্রীর পত্ৰ ܘ ܔ শ্ৰী রবীন্দ্ৰনাথ ঠাকুর কাজ, তারা পশু-সংসারে হিংস্ৰ দাত নখের ভীষণতার উপর । কলমের ঝোক দেবামাত্র কল্পনায় মনে হয়। পশুদের জীবনযাত্রা কেবলু ভয়েরই বাহন। কিন্তু এই সব অত্যাচারের চেয়ে বড়ো হ’চ্চে সেই প্ৰাণ যা আপনার সদা-সক্রিয় উদ্যমে আপনাতেই আনন্দিত, এমন কি, শ্বাপদের হাত থেকে আত্মরক্ষার কৌশল ও চেষ্টা, সেও আনন্দিত প্ৰাণ-ক্রিয়ারই TENE I Inter-ocean RNKF GR afg5 si qya লেখকের বর্ণনা থেকে বালির মেয়েদের দুঃখের বৃত্তান্ত পাওয়া গেল, সেই কাগজেই আর একজন লেখক সেখানকার শিল্পকুশল, উৎসব-বিলাসী, সৌন্দৰ্য্যপ্রিয়তাকে আনন্দের সঙ্গে দেখেচোন। তার সেই দেখার আলোতে বোঝা যায় মানির কলঙ্কটা অসত্য না হ’লেও সত্যও নয়। এই দ্বীপে আমরা ঘুরেচি, গ্রামে পথে বাজারে শস্যক্ষেত্রে মন্দির-দ্বারে উৎসব-ভূমিতে ঝরুণ-তলায় বালির মেয়েদের অনেক দেখোঁচি, সব জায়গাতেই তাদের দেখলুম সুস্থ, সুপরিপুষ্ট, সুবিনীত, সুপ্ৰসন্ন—তাদের মধ্যে পীড়া অপমান অত্যাচারের কোনো চেহারা তো দেখলুম না। খুটিয়ে খবর নিলে নিশ্চয় কলঙ্কের কথা অনেক পাওয়া যাবে-কিন্তু খুঁটিয়ে পাওয়া ময়লা কথাগুলো সুতো দিয়ে এক সঙ্গে গাথলেই সত্যকে euBS DBD DBB BK DD DBB DDS DDD SBB সেপ্টেম্বর, ১৯২৭ ৷৷ সুরবায়া, জাভা । ( ক্রমশঃ ) করবার শক্তি আছে। গত মাসের বিচিত্রায় প্ৰকাশিত জাভাযাত্রীর পত্রে ৮০৪ পৃষ্টার ২য় স্তম্ভের ৬ পঙক্তিতে যে বাক্য আরম্ভ হইয়াচে তাহা এইরূপ হইবে,-“এখানে এসে বারবার আমার এই কথা মনে হয়েছে যে, অতীত কাল যত বড় কালই হোক নিজের সম্বন্ধে বৰ্ত্তমান কালের একটা স্পৰ্দ্ধা থাকা উচিত, মনে থাকা উচিত তার মধ্যে জয়