পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৩৪ ] আমাদের গৃহসজ্জা V69 শ্ৰীসোমবৰ্ম্মা শোবার এবং বসবার ঘর উভয় রূপেই ব্যবহৃত হ’ত। cलकांहल देवक थानां अथवा पुश्क्भि छिल नl-कन ना বাৎস্যায়নের আমলে মুসলমান বা ইংরাজ অতিথি ভারতে পদাৰ্পণ করেননি। বন্ধু বান্ধবদের এই ঘরেই অভ্যর্থনা করা হ’ত। অন্তঃপুরিকাদের জন্য ভিন্ন প্রকোষ্ট নিদিষ্ট छल । সেকালে অন্যান্য আসবাব-পত্রও ছিল । সুখাসন, পাদপীঠ প্ৰভৃতির উল্লেখ সেকালের সাহিতো এবং নিদর্শন সেকালের মন্দির-গাত্রে এবং ভগ্নস্থািপ ভিত্তিতে যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যায়। মুসলমানী আমলে এগুলো ভিন্নরূপ নিয়েছিল মাত্র । তবে মুসলমানী আমলে আমরা রীতিমত বৈঠকখানার চালিয়ে দিলেন । দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে সেটাকে মানিয়ে নেবার কোন চেষ্টাই তারা ক’রলেন না । এই সময়ে একমাত্র বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বিসদৃশতার বিরুদ্ধে লেখনী চালনা করেন। তিনি লেখেন---“দেশের সূর্যালোকের সহিত, চতুস্পার্থের ঘনায়মান প্রকৃতির সহিত আমাদের অন্তরের যুগযুগান্তরগত শুভ ভাবের সহিত সঙ্গতি রক্ষা করিয়া আমাদের চিরন্তন সজ্জাকল্যাটিকেই আধুনিক কালে পোযোগী করিয়া অভিব্যক্তি করিয়া তুলিতে হইবে। বিসদৃশ বিলাতী ফ্যাশনের কতকগুলা আবৰ্জনা যথেচ্চা সংগ্ৰহ করিয়া একটা অশোভন পণ্যশালা সাজাইয়া বসিয়া তাহাকেই একখণ্ড দেশী গালিচার জোরে আমাদের অভ্যর্থনা ব্যবহারে অভ্যস্ত হই এবং সেখানে পাতিবার জন্যে মসলন্দ, গালিচা প্রভৃতির আমদানি ক’রতে আরম্ভ করি। ইংরাজী আমলের প্রথম যুগে আমাদের বৈঠকখানা মোটামুটি ওইরকমই ছিল। তারপর এল-সোনালী ফ্রেমওয়ালা বড় বড় আৰ্শী, বেলওয়ারি ঝাড় লণ্ঠন, দেয়ালগিরি, চিত্র বিচিত্র ফ্ৰেমযুক্ত টানাপাখা ইত্যাদি। তারপর নবাতন্ত্রীদের যুগ। তারা বিলাত থেকে ফিরে এসে একেবারে বিলাতী ড্রয়িংরুমের হুবহু নকল দেশে গৃহ আখ্যা দেওয়া চলিবে না। আসল কথা আমরা ভুলিয়া না। যাই যে, ইংরাজ দোকানের বিলাতী আসবাবগুলি নিতান্তই আমাদের উপযোগী করিয়া প্ৰস্তুত করা হয় নাই । যে দেশে দক্ষিণ বাতাসের জন্য সারাহ্মণ দ্বার উন্মুক্ত রাখিতে হয় না এবং রুদ্ধ সাব্দীর মধ্যে ধূলি প্রবেশের সুবিধা নাই, সে দেশে যে সকল আসবাব গৃহের শ্ৰী এবং শোভা সম্পাদনে নিয়োজিত হয়, আমাদের মুক্ত-বাতায়ন ধূলি বহুল প্ৰাচ্যগৃহে DB BB BDDBB BBBDD S DDSDD DDD DDBSDD KLS