পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের আগে শ্ৰীসুরেশানন্দ ভট্টাচাৰ্য্য শীতের রাতের স্তিমিত তারার নিমীল চোখের স্বপন টুক নব প্ৰভাতের আলোর পরশ ক’রে ঝ’রে ভরে ধরার বুক, ঘন কুয়াসার ধূসর মায়ার বসন ছিড়ে রঙের তুফানে আকুল করে এ ধরিত্রীরে মরণ সায়র মথিত প্রেমের চুমায় চুমায় এলায়ে পড়া জাগেরে ফাগুন হাজারে যুগের মিলন সুখের আবেগভর । হ’ল কত কাল, এমনি আকুল ফাগুন দিনের স্বপন দিয়া চকিতে যে দিন আমার পরাণ-খানিরে রঙীন ক’রলে প্ৰিয়া । তোমার হাতের এক পালকের ছোয়ার মাঝে, সবখানি প্ৰাণ কঁাপিল সেদিন বুকের কাছে ; এই জীবনের দিগন্তরের স্তবন্ধ নিবিড় সীমার শেষে বুকের সে মোর ইন্দ্ৰধনুর সাত-রঙা সুর যায়নি ভেসে । সেই তো তোমার প্রথম চুমার স্বর্ণবরণ নিমেষ খানি হয়নি মলিন, রঙীণ সে মোর সকল শিরার রক্ত টানি, ফাস্তুনে আজ রঙটা যে তার দ্বিগুণ রাঙা যদি এ আমার মুদিত দিবার তন্দ্ৰা ভাঙা সন্ধ্যাকালের এই টলোমাল অবাক অর্ধার লগ্নটীরে শিউরে ওঠাও একটা চুমায় মোর জীবনের প্রান্ত তীরে,- সবখানি প্ৰাণ করবো উপুড়,-এক ফোটা রস নিংড়ে নিতে শেষ শোণিতের টকটকে লাল জলবে গো সেই নিমেষটতে, তার পরও হয়, ফাগুন যেখায় আর না চলে, পথ ভুলে যায় যেই দিশাহীন তিমির তলে সেইখানে সেই মরণ পারের অন্তরালের আবছা দিয়া নিদ-নীলিমায় উড়বে সে মোয় জন্ম যুগের স্বল্প নিয়া ।