পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७७७8 ] বিদেশী চিত্র वैश्द्रबिांगा ब्रांब्र আনিয়া নামাইল। প্রতিদিন একটার সময়, সাহেবের টিফিন মালোমিয়াই যোগায়। চা সহযোগে পরম আদরে সাহেব এই বিদেশী খান্ত আহার করেন,-বাছিয়া বাছিয়া সব চেয়ে ভাল পিঠাগুলি মালোমিয়া সাহেবের প্লেটে তুলিয়া দেয়, সাহেবও আট আনার স্থানে এক টাকা, বা এক টাকার স্থানে দেড় টাকা দিয়া পিঠার মূল্য পরিশোধ করেন। শুত্র তানাখার নীচে মালোমিয়ার স্বাভাবিক গোলাপী রংটা হাসিতে উজ্জল হইয়া উঠে, সাহেবও পরম তৃপ্তির সহিত সেটুকু উপভোগ করেন; তারপর সোনার চুড়িতে ঠুনঠুনি বাজাইয়া বৰ্ম্ম সিগারটিতে আগুন ধরাইয়া, বারকয়েক সেটিতে আপনি চুমুক দিয়া, সাহেবের হাতে তুলিয়া দিয়া মালোমিয়া হাসিয়া চলিয়া যায় ; তাহার পদক্ষেপে, তাহার গতিতে, তাহার সকল-কিছুতে সে হাসি উজ্জ্বল হইয়া উঠে,-রাত্রে স্বপ্নের ঘোরে সে হাসি মনে জাগিয়া সাহেবের প্রবাসের কষ্ট ভুলাইয়া দেয়। Վ) সন্ধ্যার পর আফিসের কেরাণীগিরির কাজে সারিয়া কোবাকে ম্যাণ্ডোলিন নিয়া পথে চলিতে চলিতে হাসিয়া মালোমিয়াকে কহিল, “ক’টা দি ঠে বিক্ৰী ক’রে কােটাকা আজ সাহেবের কাছ থেকে নিলে মালোমিয়া ?” মাথার ফুলের গুচ্ছ গুছাইতে গুছাইতে, সত্য গোপন করিয়া, হাঁসিয়া মালোমিয়া কহিল, "সাহেবটা সত্যি কোবাকে, বডড বোকা -যা দাম চাই, মানিব্যাগ খুলে তাই দিয়ে CW. কোবাকেও হাসিল সত্য, কিন্তু গোপনে একবার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিপাত করিয়া মালোমিয়াকে নিরীক্ষণ করিয়া লইল ; তারপর হাসিতে হাসিতেই কহিল, “তা তাতে তোমার লাভ বই ক্ষতি কি ? পায়ে সোনার মল অবধি হয়ে গেছে,-এইবারে সোনার ইয়ারিং দুটোতে চুণী-পান্না বসবে।” মালোমিয়া হাসিল। লাল বালুর পথে কঁাকরের গায়ে ?tit caeVoter by Riftsfèr, Vitra ofici BVI * গোলাপ ফুটন্ত যুইএর গন্ধে সে পথ মাধুৱীময় হইয়া উঠিয়াছিল, সে সৌন্দৰ্য্য উপভোগ করিতে সাহেব তাহার কাংলোর মালোমিয়া । সম্মুখে ইজিচেয়ার পাতিয়া আসিয়া বসিলেন। সম্মুখ দিয়া হাসিয়া হাসিয়া বেণারসী লুঙ্গির ঝলক তুলিয়া, দুই হাতে সেলাম জানাইয়া মালোমিয়া কোবাকের পাশে পাশে চলিয়া গেল, সাহেব কটাক্ষপাত করিয়া কোবাকোকে দেখিয়া লাইলেন। , পরদিন সাহেব মালোমিয়াকে জিজ্ঞাসা করিলেন, "লোকটা কে মালোমিয়া ?” মালোমিয়া হাসিয়া সহজভাবে উত্তর দিল, “আমার সাহেব, ওর সঙ্গে আমার বিয়ে হবে।” : - “ভাল, ভাল, তা কি করে ও ? দোকান ?” “না সাহেব দোকান নয়, আফিসের কেরাণী ।” ঠোট উল্টাইয়া সাহেব কহিলেন, “কেরাণী ? তা মাইনে কত ? দু’তিন শ’ ?” স্নান হাসিয়া মালোমিয়া কহিল, “না সাহেব, দু’তিন শ” কোথায় ? যাটু।” “তাও নয় ? মোটে যাট ?” সাহেব বিদ্রেরূপভরে হাসিতে লাগিলেন, “মোটে ষাট মালোমিয়া, ওর সঙ্গে তোমার दिल्म श्व ? cभांत्रि या " একটু ক্ষুধু হইয়া মালোমিয়া কহিল, “মোটে কি সাহেব ? ঐ ওতেই আমাদের • চলে যাবে, তার বেশী আমাদের शब्रकब्र कि ” “দরকার নেই? ওতেই তোমাদের খাওয়া-পরা, দু’চারখান তোমার গয়না, ভাল ভাল জামা কাপড়া-সব হবে ? জানো মালোমিয়া আমার বাজার কার্বার যে চাকর তারই মাইনে ত দেখি প্ৰায় ওর কাছাকাছি।” সাহেব হাসিতে লাগিলেন-মালোমিয়া লাল হইয়া উঠিল। “তোমার ফিরি করা এ জন্মে। আর ঘুচিবে না দেখছি মালোমিয়া তোমার জন্যে আমার কষ্ট বর, CBS -' ভ্ৰকুঞ্চিত করিয়া মালোমিয়া ফিরি। তুলিয়া উঠিয়া দাড়াইল। বাহিরের উজ্জল আলো পড়িয়া পায়ের সোনার মল, পরিধানের বেনারসী লুঙ্গি চক্‌মক্‌ কৰুয়ািৰু করিতে লাগিল। সাহেৰ হাসিতে হাসিতে বলিল, “আরো কিছু