পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

66ህ” পতি বা উপরিক প্রতিষ্ঠিত ছিলেন । পাল, সেন, বৰ্ম্ম, চন্দ্ৰদের তাম্রশাসনে ও উপক্লিক এবং বিষয়পতির পরিচয় পাওয়া যায়, তখন পৰ্য্যন্তও তাহার রাজপাদোপজীবিগণের মধ্যে গণ্য ছিলেন । ক্রমশঃ রাজ্যের আয়তন কমার সঙ্গে সঙ্গে উপরিক অদৃশ্য হইয়াছিলেন, অথবা নামে মাত্ৰ পৰ্য্যবসিত হইয়াছিলেন, কিন্তু বিষয়ুপতিগণ মুসলমান আগমনের পূর্বপৰ্য্যন্ত তঁহাদের আসন বজায় রাখিয়াছিলেন । এই বিষয়পতিগণের কোন সংখ্যা নির্দিষ্ট ছিল না, প্ৰাগ মুসলমান যুগে বিষয়পতি যে বারজনই মাত্র ছিলেন এমন কোন প্রমাণ অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হইয়াছে বলিয়া জানি না । মুসলমানগণ যখন দেশ অধিকার করিলেন, যখন ইলিয়াস শাহ, সেকন্দর শাহ অথবা হুসেন শাহের আমলে সুনিয়ন্ত্রিত শাসনযন্ত্রে বাঙ্গাল শাসিত হইতে লাগিল তখন হিন্দু বিষয়পতিগণের স্থান মুসলমান সেনাপতিগণ গ্ৰহণ করিয়াছিলেন, তঁহাদের অধীনে দেশময় tary বা থানা স্থাপিত হইয়াছিল, তাহার বহু প্ৰমাণ আছে। প্ৰাগ মুঘল যুগে রাজস্ব সংগ্রহের কি ব্যবস্থা ছিল তাহার ভাল পরিচয় পাওয়া যায় না। সম্ভবতঃ এই থানাদারগণের উপরেই সেই ভার অৰ্পিত ছিল। মুঘলদের বাঙ্গালী দখলের পুর্বে এই তো ছিল দেশের শাসন ব্যবস্থা, হিন্দুযুগেও বার জন বিষয়পতির প্ৰসঙ্গ পাই না, প্রাগমুঘল যুগেও ১২ জন থানাদারের পরিাচয় পাই না। তবে হঠাৎ মুঘল যুগের প্রারম্ভে মনুকথিত mili station বার সামন্ত বা বার ভুঞার অভু্যুত্থান ঘটিল কেমন করিয়া ? ভূঞাদের সমস্ত বা অধিকাংশ যদি হিন্দু হইত, তবুও বুঝি on C, arts IIindu Revival catfie are भद्र ব্যবস্থা অনুসরণ করিয়া ভুঞাগণ নিজেদের সংখ্যা বার”তে নির্দিষ্ট করিয়া লইয়াছিলেন। কিন্তু সমসাময়িক লেখকগণের মতেই ভূঞাগণের ৯ জনই মুসলমান ছিলেন। তবে এই বার সংখ্যা আসিল কোথা হইতে ? আমার মনে হয়, আসামের ইতিহাস পৰ্য্যালোচনা করিলে আমরা বাঙ্গালার ভূঞাগণের সংখ্যা ‘বার’তে নির্দেশের কারণ বুঝিতে পারি। আমাদের শ্ৰীষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর ইতিহাস অত্যন্ত কুহেলিকাছন্ন। এই শতাব্দীর <මුණේ [চৈত্র মধ্য ভাগে সুকাফা নামক স্বনামধন্য শান-বীরের অধিনায়কত্বে আহােমগণ আসামের পূর্ব প্রান্ত দিয়া আসামে গমন করে । আহোম জাতির ইতিহাস-সঙ্কলনস্পৃহা বেশ প্ৰবল ছিল এবং আদিকাল হইতে তাহারা তাহদের ইতিহাস বুরুঞ্জিতে লিপিবদ্ধ করিয়া আসিতেছে। বুরুঞ্জিতে গোড়ার দিক দিয়া অবশ্য অনেক রকম গাল-গল্পই আছে কিন্তু ঐতিহাসিক যুগের যে সকল ঘটনা এবং তারিখ বুরুঞ্জিতে লিপিবদ্ধ হইয়াছে তাহার অনেকগুলিই যে বেশ নির্ভরযোগ্য, তাহা প্রমাণিত হইয়া গিয়াছে। বুরুঞ্জিমতে আহোমদের আসাম প্ৰবেশ কালে পূৰ্ব আসামে ব্ৰহ্মপুত্রের উত্তর তীরে একটি চুটিয়া রাজবংশ রাজত্ব করিতেছিল এবং দক্ষিণ তীরে একটি কাছাড়ী রাজ্য ছিল । এদিকে বৰ্ত্তমান রঙ্গপুর, কুচবিহার ইত্যাদি স্থান বাপিয়া কামত রাজ্যের অবস্থান ছিল। পশ্চিমে কামত রাজ্য এবং পূৰ্ব্বে ছুটিয়া ও কাছাড়ী রাজ্যের মধ্যবৰ্ত্তী ভূভাগে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভূস্বামীগণ রাজত্ব করিতেন এবং তঁাহারা বারভুঞা বলিয়া পরিচিত ছিলেন। এই ভূঞাগণ প্ৰায় ৭০ বৎসর কাল নিজেদের স্বাধীনতা রক্ষা করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । ( Social History of Kamrup by N. Bose, Vol 1, p.240) এই ভূঞাদের উৎপত্তি সম্বন্ধে দুই রকম প্ৰবাদ প্রচলিত আছে। এক প্ৰবাদ এই যে, ক্ষত্ৰিয়বংশীয় শেষ রাজা অরিমিত্তের পুত্র রত্নদিনই অরিমিত্তের মন্ত্রী সমুদ্র কর্তৃক রাজাচুত হইলে (১২৩৮ খ্ৰী.) কামরূপ রাজ্য সমুদ্রপুত্ৰ মনোহরের হস্তগত হয় । মনোহরের কন্যা লক্ষ্মী সুৰ্য্যের বরে শান্তনু এবং সামন্ত নামে দুই পুত্র লাভ করে এবং এই দুই জনের প্রত্যেকের বারটি করে ছেলে হয়। ক্রমান্বয়ে শান্তনুর পুত্ৰগণ ব্ৰহ্মপুত্রের দক্ষিণে নওগাঙ্গ জেলা অধিকার করে এবং সামন্তের পুত্ৰগণ বৰ্ত্তমান লখিমপুর জেলার অধিপতি হয় এবং এই উভয় দলই বারভূঞা নামে পরিচিত হয়। আহোমরাজ সুখাঙ্গাফার আমলে ( ১২৯৩-১৩৩২ औः ) बांब्रडू4णी स्त्रांप्शंभ ब्रांप्खद्र बर्थऊ शैौकांव्र कब्र । এই ভূঞাগণ আদি ভূঞা নামে পরিচিত। ভূঞাদের উৎপত্তির অন্য বিবরণ মতে জানা যায় যে Yoys (Social History of Kamrup by N. Bpse,