পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Gł R ওয়েষ্ট এণ্ড । সে অঞ্চলে লোকে বাজার করতে আমোদ করতে আহার করতে যায়, সেখানে বড় বড় দোকান বড় বড় হোটেল বড় বড় ক্লাব বড় বড় থিয়েটার সিনেমা নাচঘর কনসার্ট হল চিত্রাগার মিউজিয়াম প্ৰদৰ্শনী! সিটীতে বড় কেউ বাস করে না, ওয়েষ্ট, এণ্ডে ধনীরা বাস করেন। দরিদ্রদের জন্যে ইষ্ট এণ্ড আর মধ্যবিত্তদের জন্তে সহরতলীগুলো। ইহা মোটের ওপর নিরালা স্বাস্থ্যকর ও সুবিন্যস্ত। আমার আক্ষেপ কেবল এই যে, এদের নগরকল্পনায় বিশিষ্টতার স্থান নেই। সবটা জুড়েছে ইউটিলিটী বা প্রয়োজনীয়তা। সুবিধা স্বাচ্ছন্দ্য ও সৌষ্ঠব। কার না দরকার ? কিন্তু সেই দরকারটাই চরম হলো, সৌন্দৰ্য্য হলো অবান্তর। তাই দেখি প্ৰশস্ত পরিচ্ছন্ন বঁাধানো পথ ঘাট, বাতায়নবহুল উপকরণাঢ্য পরিপাট বাড়ী ঘর, কিন্তু রাস্তার সব ক’টা বাড়ী একই ধাঁচের, একেবারে হুবহু এক, যেন এক ছাচে ঢালা সীসের টাইপ । এরা সৈনিক নাবিকের জাত, কচি বয়স থেকে ড্রিল করতে অভ্যস্ত, সারি বেধে গির্জায় যায়, সারি বোধে। ইস্কুল থেকে ফেরে, এদের চালে চলনে উঠতে বসতে ড্রিল। তাই এদের ঘরবাড়ীগুলো পৰ্য্যন্ত লাইন বেধে পরস্পরের সঙ্গে সমান ব্যবধান রেখে "attention"- এর ভঙ্গীতে খাড়া, তাদের সকলের গায় একই ইউনিফর্ম, তার একই মাপ একই রঙ একই রেখা একই গড়ন । চোখের ক্ষুধায় ক্ষুধাৰ্ত্ত হ’য়ে তাকাই আর ক্ষোভে নৈরাশ্যে ਜਠੇ | vstafè gavrce, (ĉarto csatst ( insanity) cxft 1 GfK ged Vfge (KR B 2 (WV অতি একঘেয়ে weather, আরেকটা কারণ নিশ্চয়ই এদের প্ৰত্যেক বিষয়ে ইউনিফর্মিটী। শুনলুম সমগ্র ইংলণ্ড নাকি সপ্তাহের একই বারে কাপড় কাচতে দেয়, একই বারে কাপড় ফিরে পায়। শহরের যে-কোনো রাস্তায় পা দিলে যে দশটা দোকান সর্বপ্রথম চোখে পড়ে তাদের গোটা দুই মদের দোকান, গোটা দুই রেস্তর, একটা সিগারেটের একটা জামা কাপড়ের ও একটা আসবাবের দোকান, একটা খবরের কাগজের ষ্টলু, একটা চুল সাজাবার, সেলুন, একটা ব্যাঙ্ক । এর ওপরে যদি টাঙ্গনির দরকার হয় তো বলি, rum খেয়ে <@>> [ cनौष নাকি এর Somme জিতেছিল, তাই সোমরসের এত আদর। সকলে অবশ্য খায় না, কিন্তু যারা খায় তাদের মধ্যে কক্‌টেলখোর স্ত্রীলোকও দেখা যায়। রবিবারেও যে তিনটি দোকান খোলা থাকে তাদের নাম মদের দোকান, সিগারেটের দোকান, খবরের কাগজের ষ্টল। সিগারেট সম্বন্ধে বক্তব্য এই যে, ওর একটা ডিবে কাছে না থাকলে ভদ্রত রক্ষা হয় না, কারুর সঙ্গে দেখা হলেই ওটা সামনে ধ’রে বলতে হয়, “নিতে আজ্ঞা হোক।” এ দেশের মেয়েরা যখন ভালোমন্দ উভয় বিষয়ে পুরুষের অনুধৰ্ম্মিণী হবেই ব’লে কোমর বেধেছে তখন তাদের কারুর আলতা পরা মুখে আগুন জ্বলতে দেখলে আশ্চৰ্য্য হইনে, কিন্তু কোনো কোনো ভারতবর্ষীয়া যখন smart দেখাবার লোভে চিবুকের সঙ্গে সমান্তরাল ক’রে ঠোঁটের ফাক দিয়ে সিগারেট লেক লক করতে করতে ভুরু কঁাপিয়ে মাথা নাচিয়ে কথা বলেন তখন রিজেণ্টস পার্ক চিড়িয়াখানার দৃশ্যবিশেষ মনে ৮ ‘ড়ে যায়। দৃশ্যটা আর কিছু নয়, বদরদের টি-পাটি। মানুষকে ওরা অবিকল নকল করতে পেরেছিল, দুঃখের বিষয় তবু কেউ ওদের মানুষ বলে ভুল করলে না। এদিকে আমি ইংরেজ যুবকদের সঙ্গে কথা ক’য়ে দেখেছি। ওরা নিজেরা সিগারেট খায় বলে কুষ্ঠিত বোধ করে ও নিজের বোনকে সিগারেট খেতে দেখলে লজ্জিত বোধ করে ; কিন্তু পরের বোনকে সিগারেট খেতে দেখলে কেমন বোধ করে এ প্রশ্নটার উত্তরে তাদের মতবিদ্যুতি দেখা গেল। অমন অবস্থায় পড়লে সবারই মত বদলায়। রেস্তর যে এ শহরে কত লক্ষ আছে তার গণনা চলে না। আহারের জন্যে রেস্তর, নিদ্রার জন্যে ফ্ল্যাট বা রুমস্-সাধারণ গৃহস্থের জন্যে এই হচ্ছে এখানকার ব্যবস্থা। (q-cYCris vritsq7)Rfès Kri Standard of comfort-qs সঙ্গে তাল রেখে গৃহস্থালী গড়া এদেশের বহুসংখ্যক স্ত্রীপুরুষের পক্ষে হুঃসাধ্য। যাদের সঙ্গতি আছে তারাও বাড়ীতে না খেয়ে বাইরে খায় এই জন্যে যে, সারাদিন যেখানে জীবিকার জন্যে খাটতে হয় বাড়ী সেখান থেকে অনেক দূরে, কিম্বা বাড়ীতে রান্না করতে যেটুকু সময় লাগে সেটুকুরবাজারদার রেস্তরীয় খাবার খরচের চেয়ে বেশি,