বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

واوا\ه মেয়েদেরকে তেমনি করে সঙ্কীর্ণ ও বিশেষ ব্যবহারের মধ্যে বেড়া দিয়ে রাখাতে মানুষের সমগ্রতার লোকসান ঘটিয়েছে তাতে সন্দেহ মাত্র নেই । বিলেতের লাটদেরকে যদি বলা যায় অন্যায় করচ, তারা ক্ষাপ হ’য়ে ওঠে ; কেননা যেখানে কোনো পক্ষের বিশেষ অধিকার, সেখানে কল্যাণের দোহাই দিলে সেটা কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিয়া আগুন করিয়া দেয় প্ৰাণ । এই জন্যে বিশেষ ভাবে আমাদের দেশে মেয়েদের পক্ষে লেশমাত্র স্বাতন্ত্র্য দাবী করলে পুরুষ মহলে তুমুল উত্তেজনা উপস্থিত হয়। বিশ্বজগতে কোথাও বঙ্গবাসীর ন্যায্য আধিকারের স্বাধীনতা নেই। রাষ্ট্ৰক্ষেত্রে আমরা পরবশ, সমাজে পদে পদেই বাধাগ্ৰস্ত । আমাদের KDL DBDD DDYYO SBY SDODBBBB SS SS SEDD আমাদের যোগ্যতার কোনো নিশানা দাখিল করতে হয় না । সেখানে আমরা দেবতা, তাই স্ত্রী নামক লাখেরাজ স্বর্গের কঁাটাতারের বেড়া দেওয়া সীমানা সম্বন্ধে সুচ্যগ্ৰ পরিমাণ ংশয় বাধলে আমাদের শাস্তা দেবত্ব ব্যাকুল হ’য়ে ওঠে। আমরা মন্ত্র প’ড়ে নিজের মূৰ্ত্তি স্থাপন ক’রে স্ত্রীকে আমাদের দেবত্র সম্পত্তি ক’রে বসে আছি । শান্ত্রি তার দলিল পাকা করে দিয়েচে, এই দলিলের জোরে দেবতাও আমরা, BBDDBDLDLD DBDBDBSSsD DBBB D BDDBDDL BB DBBDS সিক অবৈধ বলে, তার মাথা ভাঙতে ইচ্ছে করে। তবু বলবার সময় এসেচে যে সমগ্ৰ মানুষটার মধ্যে থেকে স্ত্রীলোকটিকে ছেটে বের ক’রে তাকে বিশেষ অধিকারীর জিন্মায় কুলুপ দিয়ে রাখলে সমস্ত মানব-জগৎকে বঞ্চিত করা হয় । সেই ফাকি যে সমাজে যত বেশি সেই সমাজে পুরুষেরই তত বেশি দুর্বলতা । সেই সমাজে মেয়ের বিষম একটা ভার । তাদের জন্যে দুশ্চিন্তার অন্ত নেই । তাদের জন্মগ্রহণ পরিবারের পক্ষে সঙ্কট । তাদের সম্বন্ধে বলে আসচি, “পথে নারী বিবজিতা ৷” সেখানেই বলাটা থামেনি । যেই আজ আমাদের BDBi BDDD D BBS sE BBDSDB BKD DDS ষের দর চ’ড়ে গেল, অমনি আমাদের পুরুষরা বলতে আরম্ভ করেচে যে শুধু পথে নহে, গৃহেও নারী বিবর্জিত। বিবাহ করতে মুখ বাকিয়েছি, মোটা পণ দিয়ে ঘাড় সোজা করতে <BD [ জ্যৈষ্ঠ হয়। মেয়েত্ব ছাড়া মেয়ের যেখানে আর কিছু নেই সেখানে সে পুরুষের আনুষঙ্গিক মাত্র। এই জন্য পুরুষের পক্ষে সে বোঝা । আজ পৃথিবীর সর্বত্রই বিবাহ করতে পুরুষের শঙ্কা ও সঙ্কোচ, কেননা বিবাহ বলতেই বোঝায় বৈষম্যকে বহন করা । যেখানে একপক্ষ খোড়া সেখানে সে অন্যপক্ষের চলৎ-শক্তির পক্ষে বিষম অত্যাচার । শুধু সংসারের নয়, আধ্যাত্মিক সাধনাতেও কথায় কথায় বলচি নারী বর্জনীয়া । কাঞ্চনের সঙ্গে নারীকে এক কোঠায় ফেলেচি যেন থলির অ্যাট গিঠটা খুলে উপুড় ক’রে দিলেই হোলো । এ কথা বলতে আমাদের সঙ্কোচ এই জন্যে হয় না। যে নারী বস্তুতই নিজের জোরে নেই। পুরুষের উপরেই তার ভর। পুরুষ তাকে যে মূল্য দিয়েছে সেই তার মূল্য। এখন তাকে আর সহজে ছাড়ানো যায় না, “কমলী সেহি ছোড়াতী।” সাধক বলচেন, এও তো বিষম আপদ । বহুদিনের চর্চার কৌশলে মানুষ কোনো কোনো ফলের অ্যাঠি লোপ করেচে। সেটা গাছের পক্ষে ভালো নয়, ভোগীর পক্ষে ভালো। সমাজের বহুযুগের চর্চায় মেয়েদের ভিতরকার শক্তি জিনিষটা ক্ষইয়ে ক্ষইয়ে খুইয়ে দেওয়া হলো, সেটা থাকলে তাদের নিজের উপর প্রতিষ্ঠা দৃঢ় থাকত, অন্যের প্রতি অতিপরিমাণ সংসক্তিতে তার না থাকত আনন্দ, না থাকত প্ৰয়োজন । ভোগী পুরুষের হাতেগড়া নারীকে আজ সাধক বলচেন, তুমি যদি অত বেশি BBDDB DBD BB BDDDS DDB BDB S S BBDSDDBDD স্বভাবতই মেয়ের হওয়া উচিত ছিল পুরুষেয় অনুকুল, তা’ না হয়ে সে হ’ল ভার। কবি বললেন, কন্যাপিতৃত্বং খলুনামকষ্টং। সাধনার ক্ষেত্রেও পুরুষ ও মেয়ের সহযোগিDB BDBD uSuSSDBS K DD DBD S ESBS DD DBB KD DBBSS BB DBDDBBD DDD DDSDD BBBDO তোলা নারী । এই জন্যেই সে হ’ল বাজােন,-কি সংসারের পথে, কি সাধনাব পথে । যাকে বন্দিনী করেছি। সে বহুযত্নে আপনি বন্ধন-শৃঙ্খলকেই সুন্দর ক’রে তুলেছে আমাদের মনকে বাধৱে ব’লে । যাকে অক্ষম করেচি সে আমাদেরই ক্ষমতাকে করেচে। বিপন্ন ।