পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ატტ8 ঘরের কথা dS শ্ৰীকান্তিচন্দ্ৰ ঘোষ ঢাকা থাকত। একটু ঘনিষ্ঠ আলাপেই সেটা প্ৰকাশ পেত। আমার সঙ্গে আলাপের দিনকয়েক পর থেকেই তা’র আড়ষ্টভাবের বদলে সংপ্ৰতিভা ভাবটাই বেশী ক’রে নজরে প’ডুতে লাগল। এতে আশ্চৰ্য্য হই নি, কেননা আমার সঙ্গে আলাপের অনেক দিন আগেই লীনার সঙ্গে সে ঘনিষ্ঠ হবি র সুযোগ পেয়েছিল। লীনার কাছে উৎসাহ পেয়ে তাঁর এই স প্রতিভা ভাবটা কত শনৈ: শনৈঃ বেড়ে উঠছিল, ত’ একটা দিনের সামান্য কথাবাৰ্ত্তা থেকেই বুঝতে পারা a切エ ] একদিন থিয়েটারী ঢং এ ঘরে ঢুকে খন্থোৎ ব’ল লে— নরেশ বাবু, আমাকে এমন একটা ওষুধ দিতে পারেন, যা” পেলে আমার মনোহারী শক্তিটা একটু কমে। আর তা’ যদি সম্ভব না হয়, ত’হলে লীনাদি’, আপনি আমায় পর্দানশীন ক’রে রাখুন। আর পয়া যায় না । - কি ব্যাপার ? লীনার দিকে চেয়ে সে ব’ললে—আর কি ?--সেই পুরাতন কথা । অর্থাৎ খন্তোৎকে দেখে এত গুলো অপরিচিত নারী যদি : প্রমে পড়ে, তা’হলে বেচারার খেয়ে-গুয়ে স্বস্তি কোথায় ? রেল ষ্টেশনে, ট্রামগাড়ীতে, থিয়েটারে, ফুটবল মাচে-কোথাও বিচারার শাস্তি নেই। এমনকি রাস্তা দিয়ে চলাবার সময়ে ও গাড়ীর পাখীর ভিতর দিয়ে তার ওপর কটাক্ষীবাণ এসে প’ডুবেই ! বেচার করে কি ? খন্তোৎ দেখতে মন্দ ছিল না। ধরণ-ধারণে সন্ত্রমের অভাব থাকলেওঁ, তা’র চেহারাটা ছিল বেশ লম্বা চওড়া । তবে সামান্য লক্ষ্য করলেই দেখা যেত যে তা’র মুখে একটা বিশ্ৰী চোয়াড়ে রকমের ভাব সৰ্ব্বদা লেগে আছে। সেইটেই ছিল তা’র বিশেষত্ব। কিন্তু তা’র নিজের স্থির বিশ্বাস ছিল, যে তা’র চেহারার মধ্যে এমন একটা नश्निौ मंखि बाइ ब' cनाथ नौशाहदरे मन जूल्ण যায়। এই বিশ্বাসের ফলে একবার সে যে কি নাজেহাল 'णि-हुि 6 | ख्ञां ज्ञांद्र न । খন্তোতেীয় দলটি ছিল পেশাদারি স্বদেশিয়ানায় একেবারে পক। ভেক্-এর কিছুমাত্র ক্রটি ছিল না। মােটা মুক্তি এবং জামার সঙ্গে চাদরটা এবং অনেক সময় জুতোটাও এদের কাছে বাহুলা ব’লে মনে হ’ত । সত্যা কথা বলতে কিএরা এত ময়লা ঘামে ভেজা কাপড় প’রতে অভ্যস্ত ছিল যে এদের বসাবার জন্যে আমাকে একটা স্বতন্ত্র ঘর ঠিক ক’রতে হ’য়েছিল। এতে তাদের কিছুমাত্র আপত্তি ছিল না, বরং সেষ্ট ঘর উপলক্ষা ক’রেই এদের একটা আলোচনা সভা স্থাপনের সুবিধা হ’ল । লীনা এল? আমি কাজের অবসরে মধ্যে মধ্যে সেই সভায় এসে বসতুম। সেদিন এদের উৎসাঙ্গের অস্থ থাকত না । লীনা ছিল এদের দেবী, এদের রাণী, এদের দিদি- একাধারে সবই । আমি খুব আমোদ পেতুম, কিন্তু লীনা দেখতুম, এতে বেশ একটু গৰ্ব্ব অনুভব ক’রত। প্রথম প্রথম আমার পরিস্কাসে লীনা চুপ ক’রে থাকত। ক্রমশঃ দেপলুম আমার পরিহাস তা’র বিরক্তির কারণ হ'য়ে উঠছে। অতএব श्रामान्ॉं আনি একাই উপভোগ করতে লাগলুম। এদের সভায় বিশেষ ক’রে "আলোচনার বিষয় ছিল দেশের দুৰ্গতি এবং বর্তমান যুরোপীয় সাহিত্য- তবে তার ই, রাজী অংশটুকু বাদ দিয়ে। ইংরাজী সাহিত্যের উল্লেপ মতা অপরাধ ব’লে গণ্য হ’ত । তার কারণ হ’চ্ছে এই যে, ইংরাজী সাহিত্যের সঙ্গে এদের অনেকেরই পরিচয় ছিল না। এবং কন্টিনেণ্ট্যাল সাঙ্গিতোয় সঙ্গে এদের সকলেরই যৎকিঞ্চিৎ পরিচয় ছিল- বাংলা কাগজের সমালোচনা স্তম্ভের উদ্ধৃত 1 একদিন সভায় ঘেটুফুলের উপর খদ্যোন্তের লেখা এক সুদীর্ঘ কবিতা পড়া হ’ল। সমালোচনাচ্ছলে সকলেই বাহবা দিলে। তারপর আরম্ভ হ’ল খাদ্যোঠের ব্যাখ্যা । সে এক পুরোদস্তুর বক্তৃত। তাতে অনেক কথাই ছিল। তবে তার সারমর্ম হচ্চে এই যে দেশের বর্তমান অবস্থায় সৌধীন জিনিস নিয়ে মনের অপব্যবহার করা উচিত নয়। देवननिन औबन७ नव, आडाडब्रिक औदन ७ नव। দেশকে একটা বস্তুভাবে দেখতে হবে এবং তা” দেখতে গেলে দেশের মধ্যে ষ' কিছু কুৎসিত, যা” কিছু ঘূণ্য তা’কেই বরণ ক’রে নেওয়া উচিত। সুন্দরের পুজা ক’রেই আমাদের বৰ্তমান দুৰ্দশা। জীবনটাকে বস্তুগত ক’রে তোলার সঙ্গে