পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাচ বছর আগে বৃত্তি পেয়ে যাপন পশ্চিম-যাত্রা না ক’রে পূর্ব-যাত্ৰা করেছিলাম, তখন আত্মীয়স্বজন অনেকেই নিরুৎসাহ হয়েছিলেন ; ছাত্রাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরাজী BDDDD DDD DBB DDDBDB D rD BBB DBBDS DB বিশেষ কোনো সম্ভাবনা থাকে না, পূৰ্ব্ব-পাত্রার ফল ও যে ভবিষ্যতে অনেকটা সেইরূপ দাড়াবে, এ-কথাও অনেকে বার বার বলেছিলেন । সে যাই হোক, হঠাৎ একদিন তল্পিতল্পা গুছিয়ে বেরিয়ে প’ড়লাম।--অনেকে পরামর্শ দেবার অবকাশও পেলেন না । সিংহল থেকে জাহাজে ঢ’ড়ে ইন্দোচীন অভিমুখে যাত্রা DTBBBBS DS DD SDDLY0YS 00 LLBYqOOEES সৈকতের নারিকেলবন-চোখের সামনে দিগন্তে মিলিয়ে গেল, মনে তখন জাগছিল। ইতিহাসের পুরাণে কথা; সাগরপারের সেই দ্বীপগুলিতে ভারত-সন্তানগণ কবে তঁদের সভ্যতা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাই জানিবার উৎসাহে মনটা তখন ভরপুর ছিল। এসিয়ার নানা দেশে ঐ সভ্যতার যে ধ্বংসাবশেষ রয়েছে তার কিয়দংশ দেখে চক্ষু সার্থক করাই ছিল মনের একান্ত কামনা ঃ উদ্দেশ্য ছিলভারত-ইতিহাসের একটা বড় অধ্যায়ের কিছু উপাদান সংগ্ৰহ করা । কলম্বো থেকে পেনাং প্ৰায় ছ’দিনের পথ। এ ছ’দিন বিশেষ কিছু করবার মত কাজ জাহাজে ছিল না। অসীম জলরাশির দিকে তাকিয়ে প্ৰভাত ও সন্ধ্যায় প্ৰকৃতির বিরাট সৌন্দৰ্য্য, নিরীক্ষণ করতাম, আর ভাব,তাম, ভারতসন্তানগণ যখন এই বিশাল সাগর-বক্ষ উত্তীর্ণ হ’য়ে ইন্দোচীনে پeته শ্ৰীপ্ৰবোধচন্দ্র বাগচী তাদের উপনিবেশ বিস্তার করেছিলেন তখন তঁরা যে কত বড় উদারতা হৃদয়ে পোষণ ক’রতেন, ইতিহাসে তার তুলনা নেই। তঁরা উপনিবেশ বিস্তার করেছিলেন-কিন্তু রক্তপাত করেন নি ; উর্তারা দেশ ত্যাগ করে এসেছিলেন -পরকে শোষণ করবার জন্য নয় ; তারা সভ্যতা দিয়েছিলেন-পরের বুকের উপর আরোহণ না ক’রে। পরের দেশের বাজারে এসে সে-সভ্যতা মুক্তহস্তে র্তারা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন, যার পছন্দ হয়েছিল সে। ওজন করে কিনে নিয়েছিল, নিজের মনের মত ক’রে তাকে ভেঙ্গে নিজের জিনিষের মত ক’রে, নিজের অভিরুচি অনুসারে গ’ড়ে তুলেছিল। আজ যখন এই সাগরের উপকূলের দিকে তাকাই তপন দেখি নানা জাতির হা-হুতাশে বাতাস অগ্নিময় হ’য়ে উপকূলভাগ দুঃসহ হয়েছে। এই সমুদ্র-তীরবত্তীর্ণ জনসমাকুল নগরসমূহের মন্দির চুড়া পুর্বে যেখানে অভ্যাগতকে সাদর আহবান জানাত এখন সেখানে শাস্ত্রীর তাড়নায় মানুষের নামতেও ঘূণা বোধ হয়। আমরা কত কথাই না ভুলে গেছি। কাশ্মীরের রাজকুমার গুণবস্মণ যে-দিন ভারতের পতাকা বহন ক’রে এই সাগরের উপর দিয়ে সিংহল থেকে যাবৰীপে গিয়ে উপনীত হয়েছিলেন, উজয়িনীর পরমার্থ যখন তার পারদর্শীর্ণবিদ্যা নিয়ে ইন্দোচীনে ও চীনে গিয়ে নূতন বাণী প্রচার করেছিলেন,-তখন ছিল ভারতের এক স্মরণীয় যুগ। গুণবর্মণ ছিলেন। কাশ্মীরের যুবরাজ। তার পিতা সঙ্ঘানন্দ কুটচক্রীর চফ্ৰান্তে বাধ্যু হ’য়ে সিংহাসন ত্যাগ ক’রে বনবাসী হয়েছিলেন। গুণবাৰ্মাণ কাশ্মীরের প্রত্যন্ত