পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YS থাকে, কিন্তু তার ভৌতিক সঙ্গিনী আর দেখা দেয় না। একদিন শুনতে পেয়েছিল ক্ষীণ কাতর-স্বর। যেন কে বলছে, “দিদি ! একটু জল দাও। ওষুধ পেলে কি হবে, ওষুধে কি প্ৰাণের জ্বালা যায় ?” সুবোধের প্রাণ তাকে খুজে বেড়াচ্ছে । কিন্তু সে ত” ইহলোকের নয়। ইচ্ছা ক’রলেই সে দেপা দোধে, তাও কখনো হয় না। প্ৰাণের ধ্যাকুলত ক্রমশঃ বাড়তে লাগল। তাকে অনেক কথা জিজ্ঞাসা করবার ছিল। সেগুলো ছাইভস্ম প্রেমের কথা । প্রেমের কথার কি শেস আছে ? শত শত দীর্ঘজীবন কেটে গিয়ে ও মানব এখনো তার শেষ করতে পারে নি, এক রাত্ৰিতে কি প্ৰাণের তৃষ্ণ মিটে ? একএকবার ভাল ল, ঐ পুকুরের জলে ডুবে ম’রলে কি হয় ? হয়ত ভূতের জগতে । গয়ে তার সঙ্গে দেপা হবে। কিন্তু অদৃ চক্ৰে জলে ডুবে মরবার দরকার হ’ল না। চতুৰ্দশীর দিন সুবোধের দিদির একখানা চিঠি ডাকে এসে পৌছল, তাতেই বোধ হয় জলডুবির ফাঁড়াটা কেটে গেল। দিদিমণি লিখেছেন, “ভাই, তোমাকে একবার চাটু ক’রে আসতে হবে। আমি 'বড় বিপদে পড়েছি। আমার একটি , বন্ধুর মেয়ে কানপুরে থাকত, তিনি মেয়েটির বিয়ের যোগাড় কর্তে কালকেতায় এসে মহাবিপদে পড়েছেন । মেয়েটির জয় হয়েছিল, এখন বিকারে দাড়িয়েছে। ডাক্তার বলে, “মেনিনজাইটিস’। আমি ক’দিন ধরে রাক্তির জাগৃছি, কিন্তু মা খোকাকে একলা সামলাতে পাচ্ছেন না : এর মধ্যে আরও অনেক আশ্চৰ্য্য কথা আছে। সেগুলো ডাক্তার বলে, “বুঝতে পাচ্ছি না।” আমি যে ফটাে-অ্যালবামখানা তোমাকে দেখতে দিয়েছিলাম তার মধ্যে একখানা ফটোর নীচে যে মেয়েটির নাম লেখা আছে “অ্যাশালতা’, এ মেয়েটি সেই। সে ফটোখানা প্ৰায় পাঁচ বৎসর BLB B DDDB BDBDB DLD DLDL DD S BB DD D DBBDB BBG gDD SS SKBD BgiiD iBDBD rsvpr et ” ·* সুবোঘের সে ফটাে-অ্যালবামখানায় কথা মনে ছিল না ; একবার দেখতে ইচ্ছা হ’ল। গোটা কতক ফটাে উন্টেই আশালতার ছবি তার চ’পের সম্মুখে পড়ল। যে ভৌতিক মূৰ্ত্তি সুবোধকে পাগল করেছিল—এ সেই ! সুবোধ কম্পিতম্বরে ডাকলে, “গদা !? १ांक्षा (gन प्रश्ठ शब्रांछल । সুবোধ জিজ্ঞাসা করলে, “ট্রেন কটার সময় ছাড়ে ?” গদা । আর আধঘণ্টা দেরি, আছে। কিন্তু এখনো খাবার তৈরি হয় নি। সুবোধ। আমার খাবার চেয়ে যাবার দরকার আগে। আমি কালকেতায় এক-কাপড়ে চললাম, তুই পরের ট্ৰেণে জিনিষগুলো নিয়ে আয় । . . . .

  • গদা । কোনো বিপদ হয়নি তা ?

সুবোধের রক্তবর্ণ কেন্দ্ৰভ্ৰষ্ট চক্ষু দেখে। গদাধর ভয় ণে য়েছিল ৷ ” সুবোধ ছড়িগাছটা নিয়ে পাগলের মতো একটু হেপে বলে, “এমন কিছু বিপদ নয়। দিদিমণি আমার বিয়ের জ) ব্যস্ত হয়েছেন। মেয়ে ঠিক হয়ে গেছে। দুটোর মধ্যে পৌঁছুতে না পাসে তার অন্য দেশে, বিয়ে হয়ে যাবে।” সুবোধ চলে গেল। গদাধর হাঁপ ছেড়ে বঁাচল। সে এক দৌড়ে বেলগাছতলায় গিয়ে ডালের দিকে তাকিয়ে বলে, “মা, অধীনের চা খেয়ে যে তুমি খুসি হয়েছে সেটা আমার পরম সৌভাগি। যখন দাদাবাবুর বিয়ে করবার ইচ্ছা হয়েছে তখন ফাড়া কেটে গেছে নিশ্চয়। বিয়ে হয়ে গেলে তোমাকে এখানে এসে প্রত্যহ চা খাওয়াব। नष्ठून বৌকে আশীৰ্ব্বাদ কর মা।” গদাধরের বেশ বোয় হ’ল যে, আশীৰ্ব্বাদের যোগাড় KCRC, কলিকাতায় পৌঁছেই সুবোধ এক নিশ্বাসে বাড়ী গিয়ে উপস্থিত। জননী বলেন, ‘এসেছিল, বেঁচেছি। তোর দিদি কোথাকার এক রোগা-পাটকা পাগুলি মেয়েকে নিয়ে “পড়েছে, তার बब्र-विकांब्र नांह ना। মেয়েটা ever, ওষুধ-“আিজ খাবে না, কেবল আবোল-তাবোল বকে।” স্থবোধ। তারা কোথায় ? ? ? ?”