পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

<මුණේ বার হয় বিচিত্র সপ্ত বর্ণে। মানুষের জীবন, যা এমনি অনেক সময়ে বৈচিত্র্যহীন বলে মনে হয়, একটু বিশ্লেষণ করলেই দেখা যায় তা বিবিধ রসসম্ভারে বিচিত্র। কল্পনা এবং বাস্তবের উভয় লোকে ‘বিচিত্ৰা” কঁাচ কলমের কাজ করলে তার অস্তিত্ব সার্থক इ८ ।। আজকালকার তথা-কথিত স্বাধীনতা-প্ৰিয়তার যুগে সংযমের কথা তুলতে ভয় হয় ; কিন্তু শক্তির তথ্য র্যারা জানেন, সংযমের মহিমা তঁদের অবিদিত নেই। খাপের মধ্যে তলোয়ারের মত সংযমেরই আশ্রয়ে শক্তির নিবাস। এ কথা সাহিত্য বিষয়েও সম্পূর্ণরূপে খাটে। স্বাধীনতা এবং স্বেচ্ছাচারিতার মধ্যে যে সূক্ষম সীমান্ত-রেখা আছে, সাহিত্যিকের সতর্ক-দৃষ্টি থেকে তা লুপ্ত হওয়া উচিত নয়। জল স্বেচ্ছা-ক্ৰমে বইলে তার নাম হয় বন্যা ; তট-সীমার মধ্যে স্বাধীন স্রোন্তে বইলে তাকে বলে নদী । সাহিত্য-সাধনায় শক্তি ও সংযম সম্বন্ধে জাগ্ৰত অথচ উদার দৃষ্টি রাখতে পারলে ‘বিচিত্রা’র একটা অভিপ্ৰায় সফল হবে। ‘বিচিত্রা’র যাত্রারম্ভ হ’ল আজ আষাঢ়ের প্রথম দিবসে। --মন্দাক্রান্ত ছন্দে । অ-সঙ্কল্পিত সহজ-সৌভাগ্যে এর গতি অভিসুচিত হয়েছে ঋতুরঙ্গশালায় নটরাজের বিচিত্র নৃত্য-লীলায়। আমরা সর্বান্তঃকরণে কামনা করি, গ্রীষ্মের অগ্নিকণা, বর্ষার জলবিন্দু, শরতের নিৰ্ম্মলতা, হেমন্তের কুজ্বটিকা, শীতের নিবিড়তা এবং বসন্তের পুষ্পোৎসব ‘বিচিত্ৰা’কে বর্ষে বর্ষে বিচিত্র করুক।