পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՏԳ8 যৌনমিলনের যে চরম সার্থকতা মানুষের কাছে, তা “প্ৰজনাৰ্থং” নয়, কেননা সেখানে সে পশু ; সার্থকতা তার প্রেমে, এইখানে সে মানুষ। তবু যৌনমিলনের জীবধৰ্ম্ম ও মানুষের চিত্তধৰ্ম্ম উভয়ের ‘ সীমানা-বিভাগ নিয়ে সহজেই গোলমাল বাধে। সাহিত্যে আপন পুরো খাজনা আদায়ের দাবী ক’রে পশুর হাত মানুষের হাত উভয়ে একসঙ্গেই অগ্রসর হয়ে আসে। আধুনিক সাহিত্যে এই নিয়ে দেওয়ানি ফৌজদারী মামলা চলচেই।। উপরে যে পশু-শব্দটা ব্যবহার করেচি ওটা নৈতিক ভালমন্দ বিচারের দিক থেকে নয় ; মানুষের আত্মবোধের বিশেষ সার্থকতার দিক থেকে । বংশরীক্ষাঘটিত-পগুধৰ্ম্ম মানুষের মনস্তত্বে ব্যাপক ও গভীর, বৈজ্ঞানিক এমন কথা বলেন। কিন্তু সে হ’ল বিজ্ঞানের কথা-মানুষের জ্ঞানে ও ব্যবহারে এর মূল্য আছে। DD BDBL D SDDTS L L DBSBBB LK সিদ্ধান্ত স্থান পায় না। অশোকবনে সীতার দুরারোগ্য ম্যালেরিয়া হওয়া উচিত ছিল এ-কথাও বিজ্ঞানের, সংসারে এ-কথার জোর আছে, কিন্তু কাব্যে নেই। সমাজের অনুশাসন সম্বন্ধেও সেই কথা। সাহিত্যে যৌনविणन निम्र 6य-ऊर्क डेह गांभांबिक श्ख्बूिकिब्र विक থেকে তার সমাধান হবে না, তার সমাধান কলারসের দিক থেকে। অর্থাৎ যৌনমিলনের মধ্যে যে দুটি মহল আছে মানুষ তার কোনটিকে অলঙ্কত ক’রে নিত্যকালের গৌরব দিতে চায় সেইটিই হ’ল বিচাৰ্য্য। s মাঝে মাঝে এক-একটা যুগে বাহকারণে বিশেষ কোনো উত্তেজনা প্ৰবল হয়ে ওঠে। সেই উত্তেজনা সাহিত্যের ক্ষেত্র অধিকার ক’রে তার প্রকৃতিকে অভিভূত ক’রে দেয়। য়ুরোপীয় যুদ্ধের সময় সেই যুদ্ধের চঞ্চলতা কাব্যে আন্দোলিত হয়েছিল। সেই সাময়িক আন্দোলনের कानकोंदे नांश्डिाब्र निडादिषद्म श्डहै श्रांटब्र नाদেখতে দেখতে তা বিলীন হয়ে যাচে । ইংলেণ্ডে পিউরিটান যুগের পরে যখন চরিত্র-শৈথিল্যের সময় এল তখন সেখানকার সাহিত্য-সুৰ্য্য তারি। কলকলেখায় जांछन शबहिण। किल नाश्टिडाब्र ८नोब्रकगह <9> [ শ্ৰাবণ কালের নয়। যথেষ্ট পরিমাণে সেই কলঙ্ক থাকলেও প্ৰতিমুহুর্তে সুৰ্য্যের জ্যোতিস্বরূপ তার প্রতিবাদ করে, সুৰ্য্যের সত্তায় তার অবস্থিতিসত্বেও তার সার্থকতা নেই। সার্থকতা হচ্চে আলোতে । মধ্যযুগে এক সময়ে যুরোপে শাস্ত্রশাসনের খুব জোর ছিল। তখন বিজ্ঞানকে সেই শাসন অভিভূত করেছে। দুৰ্য্যের চারিদিকে পৃথিবী ঘোরে একথা বলতে গেলে মুখ চেপে ধরেছিল-ভুলেছিল বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের একাধিপত্য-তার সিংহাসন ধৰ্ম্মের রাজত্বসীমার বাইরে। আজকের দিনে তার বিপরীত হ’ল। বিজ্ঞান প্ৰবল হয়ে উঠে cकांथां७ स्थांश्नांद्र औषा भांन्ड् फ्रांश ना । उांद्र थोडांब মানব মনের সকল বিভাগেই আপন পেয়াদা পাঠিয়েছে। নূতন ক্ষমতার তকমা প’রে কোথাও সে অনধিকার প্ৰবেশ করতে কুষ্ঠিত হয় না। বিজ্ঞান পদার্থটা ব্যক্তিস্বভাববজিত-তার ধৰ্ম্মই হচ্চে সত্য সম্বন্ধে অপক্ষপাত কৌতুহল। এই কৌতুহলের বেড়াজাল এখনকার সাহিত্যকেও ক্রমে ক্ৰমে ঘিরে ধরচে। অথচ সাহিত্যের বিশেষত্বই হচ্চে তার পক্ষপাত ধৰ্ম্ম ;-সাহিত্যের বাণী স্বয়ম্বারা । বিজ্ঞানের নিবিচার কৌতুহল সাহিত্যের সেই বরণ-ক’রে-নেবার স্বভাবকে পরাস্ত করতে উদ্ভূত। আজকালকার যুরোপীয় সাহিত্যে যৌনমিলনের দৈহিকতা নিয়ে খুব যে একটা উপদ্ৰৰ চলচে সেটার প্রধান প্রেরণা বৈজ্ঞানিক কৌতুহল, রেস্টারেশন যুগে সেটা ছিল। লালসা। কিন্তু সেই যুগের লালসার উত্তেজনাও যেমন সাহিত্যের রাজটীকা চিরদিনের মতো পায়নি, আজকালকার দিনের বৈজ্ঞানিক কৌতুহলের ঔৎসুক্যও সাহিত্যে চিরকাল টিকতে পারে না। একদিন আমাদের দেশে নাগরিকতা যখন খুব তপ্ত ছিল তখন ভারতচন্দ্রের বিদ্যান্বন্দরের যথেষ্ট আদর দেখেছি। মদনমোহন তর্কালঙ্কারের মধ্যেও সে বঁাজ ছিল । তখনকার দিনের নাগরিক-সাহিত্যে এ জিনিষটার. ছড়াছড়ি দেখা গেছে। যারা এই নেশায় বুদ হ’য়ে ছিল তারা মনে করতে পারত না যে, সেদিনকার সাহিত্যের রাসাকাঠের এই ধোঁয়াটাই প্ৰধান ও স্থায়ী জিনিষ নয়,